সব জঙ্গি দমন বাকি মাত্র একজন

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে বসে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছেন। আমরা বাংলাভাই, শায়খ আব্দুর রহমান নামের জঙ্গিদের দমন করতে পেরেছি। কিন্তু এখনও একজন জঙ্গিকে দমন করতে পারিনি। সেটি খালেদা জিয়া। তিনি যেভাবে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে তিনিও অচিরেই দমন হবেন।’

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ চত্বরে আয়োজিত বিএমএ নির্বাচনে স্বাচিপ মনোনীত ডা. শেখ বাহারুল আলম ও ডা. মেহেদী নেওয়াজ পরিষদের প্যানেল পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘২০ দল এখন বিষে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। ওই সময় বিশ্বকাপের মত প্রতিদ্বন্দ্বিতার খেলা হবে। সাহস থাকলে নির্বাচনে অংশ নেবেন।’

দেশের কোথাও হরতাল হচ্ছে না দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘যারা সহিংসতার মাধ্যমে গাড়ি পোড়াচ্ছে, নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছে। তাদের কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে। কোথাও হরতাল হচ্ছে না। সাধারন মানুষ এই হরতাল মানছে না। হরতালের দিনেও ঢাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা যায়। তাহলে কোথায় হরতাল পালিত হচ্ছে?’

সহিংসতার মাধ্যমে কোনো আন্দোলন সফল হতে পারে না। সহিংসতাকারীদের প্রচলিত আইনে বিচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জয় হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন না করলে দেশে মার্শাল ‘ল’ জারি হতো। শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন করে গণতন্ত্র দিয়েছেন।’

খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়নে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার ইউনিট সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত করা হবে। শেখ আবু নাসের হাসপাতালের কিডনী চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘ডাক্তারদের নিরাপত্তা দেয়া ও সুরক্ষায় আইন করা হবে। সেটি মন্ত্রী পরিষদে পাস হওয়ার পর তা সংসদে উত্থাপন করা হবে। এ ছাড়া রোগীরাও যাতে নিগৃহিত না হয়, সুচিকিৎসা পায়, সেজন্যও আইন করা হবে। রোগীদের কষ্ট দিয়ে ধর্মঘট করা যাবে না।’

প্যানেল পরিচিতি সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বচিপ) খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা এম পি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ, বিএমএর সাবেক মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএর সাবেক মহাসচিব ডা. শরফুদ্দিন ভূইয়া, স্বাচিপের কেন্দ্রিয় যুগ্ম মহাসচিব ডা. জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী খুলনার বিশেষায়িত শেখ আবু নাসের হাসপাতালের পরিদর্শন করেন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ চত্বরে শহীদ মিনার উদ্বোধন, কয়েকটি ছাত্রাবাস ও মেডিকেল কলেজের নাম ফলক উন্মোচন করেন।



মন্তব্য চালু নেই