সফল ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল: ‘গণতন্ত্রের জননী ও ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ককে শুভেচ্ছা’
বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, জুলুম-নির্যাতন, মামলা-হামলা ও ধন-সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করে অবৈধ আওয়ামী জালিম সরকার বিশ্বের অন্যতম সর্ববৃহত্ গণতান্ত্রিক দল বিএনপি-কে সমূলে ধ্বংস করার উন্মত্ত খেলায় মেতে উঠেছিল। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ দেশের প্রতিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জয়লাভ করে দেশের সর্ববৃহত্ সংগঠন বিএনপি-কে কোনঠাসা করতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের জননী, তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নবনির্বাচিত চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার, বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ক, বিএনপির নবনির্বাচিত সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একাগ্রতা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও সঠিক নেতৃত্বের গুণে সগৌরবে মাথা উঁচু করে উজ্জ্বল আলোর দীপ্তি ছড়াচ্ছে আমার প্রাণের সংগঠন। গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে কোটি মানুষের সমাগম তারই পরিচয় বহন করে। এমন সংগঠনের একজন স্বেচ্ছাসেবক হতে পেরে আমি ধন্য। বিশ্বের সব প্রবাসি বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকের পক্ষ থেকে দলের নবনির্বাচিত চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
দেশ ও দেশের আপামর জনসাধারণ যখন দখলদার আওয়ামী সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, অত্যাচার ও জুলুম নির্যাতনে অতিষ্ঠ ঠিক তখনই চেয়ারপারসনের জাতীয় কাউন্সিলে দেয়া সোয়া এক ঘণ্টার বক্তব্য ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের আধা ঘণ্টার বক্তব্য সমগ্র জাতির বুকে নতুন করে আশার আলো সঞ্চার করেছে। দিশেহারা জাতি ,দুর্নীতি দুঃশাসন হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ, এই স্লোগ্যানে উজ্জীবিত হয়ে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। দেশ মাতৃকার সেবায় আত্মনিয়োগ করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে। দেশ নেত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে নেতাকর্মীরা সব অন্ধকার দূরে ঠেলে নারীর সম্ভ্রম রক্ষা, বিপন্ন মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ, শিশুর নিরাপত্তা বিধান ও দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ে নতুন দিগন্তের সূচনা করুক বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অগনিত বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের এটাই একমাত্র চাওয়া।
বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের দিকে চেয়েছিল গোটা বিশ্ব। চেয়ারপারসনের বক্তব্যে উঠে আসে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবের নাম। যা বিশ্বের সব গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঘোষিত ভিষণ ২০৩০ তার দূরদর্শিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ক বক্তব্য প্রগাঢ় রাজনৈতিক প্রজ্ঞার নিদর্শন। আওয়ামী লীগকে আবারও জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহবান চরম ধৌর্যের পরিচয় বলে বিশ্বব্যাপি আলোচিত হচ্ছে । আর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে জাতি গঠনে মহান নেতা তারেক রহমানের দেয়া বক্তব্য জাতিকে উজ্জীবিত করেছে। যুক্তরাজ্য পর্লামেন্টের বিরোধী লেবার পার্টির সদস্য সিমন ডান্সজাক, যুক্তরাষ্ট্রের ডমোক্রেটিক পার্টির এমপি সাইমুক ব্যাঞ্চক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট অ্যাম্বাসিরি পলিটিক্যাল প্রতিনিধি এ্যডাড্রিনের কাউন্সিলে উপস্থিত নতুন মাত্রা যোগ করে। নতুন নেতৃত্ব সবার আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাক বিশ্বের সব প্রবাসি বিএনপি নের্তৃবৃন্দের এটাই চাওয়া।
এম এ তাহের
সাধারণ সম্পাদক,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
ফ্রান্স শাখা
মন্তব্য চালু নেই