‘সফলতার টার্গেটে বিএনপির নয়া কৌশল’

সরকারের মতি-গতি এবং দূতিয়ালিদের চূড়ান্ত বার্তা পাবার পরই আন্দোলনের কৌশল প্রয়োগ করা হবে। চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘ ৬৭ দিন টানা অবরোধের পাশাপাশি চলছে হরতাল। এবার সফলতার টার্গেটে নয়া কৌশল নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের দাবিতে ২০ দলীয় জোট এ আন্দোলন করছে। এ দাবি আদায়ের জন্য গত ৬ জানুয়ারি থেকে নদী ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অবরোধের পাশাপাশি চলছে হরতাল কর্মসূচি।

সূত্রমতে, এই সময়ের মধ্যে দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংলাপ ও পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে আন্দোলনে শিথিলতা আনা হবে। কর্মসূচির ধরন পাল্টে রাজপথে লাখ লাখ লোকসমাগম ঘটিয়ে জনপ্রিয়তার জানান দেয়া হবে। আর সংলাপে সায় না দিলে চলমান আন্দোলনের গতি বাড়ানো হবে বহুগুণ। অনির্দিষ্টকালের অবরোধ, সপ্তাহের পাঁচদিন হরতালের পাশাপাশি আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। অন্য ৬ বিভাগের মতো ‘ঢাকায় বন্দি সরকারের ঢাকা অচল’ কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে ২০ দলীয় জোটের নীতিনির্ধারকদের। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও রয়েছে।

চলমান কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে রাজপথে নামাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ২০ দলীয় জোট।

জোট সূত্রমতে, রাজপথ দখল করতে নেতাকর্মীদের দেখা না গেলেও বিচ্ছিন্ন কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ও পেট্রোলবোমার আগুনে ইতোমধ্যেই দেশে শতাধিক সাধারণ মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ সব সহিংসতার ঘটনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বিরোধী জোটের আন্দোলনকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, আত্মগোপনে এবং প্রকাশ্য দিবালোকে থাকা দলীয় নেতাদের কাছে এমনই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ‘আন্দোলনের লাটাই’ চালক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শরিক দল জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য শরিক দলের নেতারাও একই নির্দেশনা দিয়েছেন নিজ নিজ নেতাকর্মীদের। অবিনাসী চাপের মুখেও কর্মসূচি থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জোটের শরিকরা। তারা স্পষ্টতই বলেছেন, কর্মসূচি থেকে পিছপা হওয়ার প্রশ্নই আসে না। পিছু হঠা মানেই লাখ লাখ নেতাকর্মীকে গুম, খুনসহ মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া, দলের অস্তিত্বকে বিলীন করা এবং রাজনীতির কবর রচনা করা।

এ সব কর্মসূচিতে রাজনৈতিক ঐতিহ্য অনুযায়ী আশানুরূপভাবে নেতাকর্মীদের মাঠে নামাতে না পেরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তনের কথা চিন্তা করছে। বিএনপি ও জোটের কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে আলাপ করে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট সূত্রে জানা যায়, আপাতত ব্যর্থ কর্মসূচি হরতাল থেকে বেরিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট বিকল্প কর্মসূচির কথা ভাবছে। সে সব কর্মসূচির মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় জনসভা, গণমিছিল, মানববন্ধন শেষে রাজধানী ঢাকায় বৃহৎ আকারে মহাসমাবেশ করা। এগুলো ছাড়া আরও কিছু কর্মসূচির কথা ভাবছে তারা।

বিএনপি ও জোটের শরিক দলের নেতারা মনে করছেন, সরকার যদি এ সব গণতান্ত্রিক ও বৈধ কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টি করে তাহলে জনগণের কাছে আবার হরতাল কর্মসূচি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে বিএনপি জোট আবার হরতাল কর্মসূচিতে ফিরে যাবে।

২০ দলীয় জোট সূত্রমতে, জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার চলমান আন্দোলনে দেশের সকল স্তরের, সব মহলের সম্পৃক্তা চান। একই সাথে বিদেশিদের সমর্থনও চান তার অনুকূলেই। এজন্য কর্মসূচির ধরনে পরিবর্তন এনেছেন। দেশের ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার সুবিধার্থেই শুক্র ও শনিবার হরতাল রাখেননি অবরোধেও শিথিলতা দেখাচ্ছেন। ফলে অসন্তুষ্ট অভিভাবকরা এখন সরকার বিরোধীদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপির চলমান সকল কর্মসূচিই জনসম্পৃক্ত। জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই আমাদের আন্দোলন। সে জন্য আমরা আন্দোলনের কৌশলে অবশ্যই জনসম্পৃক্ত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। হরতাল, অবরোধও জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি।

সূত্র জানায়, বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ ও হরতালের বিকল্প হিসেবে নতুন কর্মসূচি আসছে। নতুন এই কর্মসূচি জনগণকে জানাতে আগামী সপ্তাহে যে কেনো সময় সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে যে কোনো দিন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করবেন। চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানাবেন তিনি। এছাড়াও ঘোষণা করবেন বিক্ষোভ কর্মসূচিসহ জেলা প্রসাশকের কার্যালয় ঘেরাও ও জেলা উপজেলায় নানান কর্মসূচি। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই এ কর্মসূচি আসছে বলে নিশ্চিত করেছে দলের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা।

সাবেক এই সেনাপ্রধান আরও বলেন, সরকারের একগুয়ে চরিত্রের কারণে আমাদের আন্দোলন এখনো অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। সে জন্য আমাদের পরবর্তী কর্মসূচির কৌশল অবশ্যই পরিবর্তন হতে পারে। জনসম্পৃক্ততার কথা মাথায় রেখেই আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান কর্মসূচির সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংতার ঘটনা ঘটছে। জোট নেতারা দবি করেছেন, এ সব ঘটনার দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ‘নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম’ একতরফাভাবে বিরোধী দলের ওপরই দিচ্ছে।

২০ দলীয় জোট নেতাদের দাবি, বিভিন্ন স্থানে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা নাশকতার উপকরণসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও তা নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে আসছে না।

অন্যদিকে বিএনপির সূত্র বলছে, বিএনপির টার্গেট এবার রাজধানী অবরোধ-হরতালের ফাঁকে ঢাকায় দুটি সমাবেশের মাধ্যমে শোডাউন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সমাবেশের অনুমতি না মিললে প্রথমে ঢাকা ঘেরাও ও পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত হতে পারেহাসান মোল্লা টানা দুই মাসের আন্দোলনের পর কর্মসূচিতে নতুনত্ব আনার চিন্তা করছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এবার ঢাকাকে কেন্দ্র করে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে অবরোধ-হরতালের ফাঁকে ঢাকায় পরপর দুটি সমাবেশের মাধ্যমে শোডাউন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সমাবেশের অনুমতি না মিললে প্রথমে ঢাকা ঘেরাও ও পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত হতে পারে।

এর ফলে একতরফা প্রচার-প্রপাগাণ্ডায় তাদের যৌক্তিক আন্দোলনও প্রশ্নের মুখে পড়ছে বলে মনে করছেন জোটটির নেতারা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদেশী কূটনীতিকদের সহিংস আন্দোলন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার চাপও। এ সব বিবেচনা করেই বিএনপি ও ২০ দল আপতত হরতালের বিকল্প কর্মসূচি বিবেচনা করছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান বলেন, হরতাল ও অবরোধকে অকার্যকর করতে সরকারদলীয় লোক ও বিভিন্ন এজেন্সি নাশকতা করে এর দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমার জেলা টাঙ্গাইলেই গত পরশু আওয়ামী লীগের নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ পেট্রোলবোমা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে আটকও করেনি। দেশে যত নাশকতার ঘটনা ঘটছে, তা কে বা কারা করছে জনগণ খুব ভাল করেই জানে।

তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনের বিভিন্ন কৌশল ইতোমধ্যেই এনেছি। আমরা গণমিছিল করেছি। মানবপ্রাচীর করেছি। আমরা রোডমার্চ করেছি। আমাদের এ সব কর্মসূচিতে হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ লোক জমায়েত হয়েছে। আমাদের সকল কর্মসূচিই জনসম্পৃক্ত। সে কারণেই আমাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

এ্যাডভোকেট আযম আরও বলেন, এ সব জনসম্পৃক্ত কর্মসূচিতেও অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বাধা সৃষ্টি করেছে। তারা কোনোভাবেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমার আশঙ্কা, আমাদের পরবর্তী কর্মসূচিও তারা করতে দেবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকেই ঢাকায় বিএনপির শোডাউনের পরিকল্পনা থাকলেও গত ৪ মার্চ খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা এবং গ্রেপ্তারের একটি সম্ভাবনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এখন খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করছে না বিরোধী জোট। এখন একটাই চিন্তা ঢাকায় আন্দোলন সফল করা। এর অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে অবরোধের মধ্যেই ঢাকায় একটি সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। সমাবেশ করার জন্য শুক্র ও শনিবারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সেদিন হরতালের কর্মসূচি দেয়া হবে না।

২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি বলেন, ২০ দল কখনই নাশকতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। গত এক বছরে যতগুলো জনসভা হয়েছে, তা ছিল শান্তিপূর্ণ। সেগুলোতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০ দলের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য সরকার ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো শক্তি এ সব সহিংস কার্যক্রম চালাচ্ছে। দেশবাসী দেখেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার অভিযোগে যারা গ্রেফতার হয়েছে তার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী বা সন্ত্রাসী।

গাণি বলেন, রাজনৈতিক ধারাবাহিতকায় সময় ও পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর বিভিন্ন কৌশল নির্ধারণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই নতুন কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন। সে অনুযায়ীই ২০ দলীয় জোট কর্মসূচি পালন করবে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান বলেন, ২০ দলীয় জোটের প্রধান নেতা খালেদা জিয়া ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই পালিত হচ্ছে। আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই আমাদের দাবি আদায় করতে চাই।

আমিনুর আরও বলেন, আন্দোলনের কৌশল যে কোনো সময়ই পরিবর্তন হতে পারে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই জোট ও জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া যে কোনো কর্মসূচি বা পদক্ষেপ নিতে পারেন।

চলমান আন্দোলনে বৈচিত্র্য আনার বিষয়ে একমত পোষণ করে বিএপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম-সাধরণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে অবশ্যই জনসম্পৃক্ততা রয়েছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এ কর্মসূচি পালন করছে। তবে এ ধরনের কর্মসূচি আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থেকে ঘোষণা করলে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। সে সময় জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয় না। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে, বিএনপির কর্মসূচিতে কখনও তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটবে না। এ কারণেই তারা নির্ভয়ে জীবন-জীবিকার কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। ব্যবস্ প্রতিষ্ঠান খোলা রাখছেন।

তিনি বলেন, দলের হাইকমান্ড আন্দোলনের কৌশলের অংশ হিসেবে চলমান কর্মসূচি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, টানা দুই মাস যেভাবে দেশ চলছে তা খুবই দুঃখজনক। টানা আন্দোলনের পরেও সরকার তাদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত করছে না। অন্যদিকে সরকার বারবার সবকিছু স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। গণতান্ত্রিক এই আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা দেশনেত্রী জানিয়েছেন। আন্দোলনে পুরোপুরি সফলতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনে কর্মসূচিতে নতুনত্ব আনা হতে পারে।

একই বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার করার হুমকি দিয়ে আন্দোলন দমন হবে, ভেবেছিল সরকার। তা হয়নি। আর খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলেও আন্দোলনের প্রভাব পড়বে, এমনটি ভাবার কারণ নেই। তখন আন্দোলন আরো জোরদার ও বেগবান হবে। আন্দোলন তার আপন গতিতেই চলবে। সফল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে কর্মসূচিতে নতুন কিছু যোগ হবে।



মন্তব্য চালু নেই