সপ্তাহের ৭ দিনের ইবাদতপূর্ণ নফল নামাজ
সালাতের আভিধানিক অর্থ হলো দোয়া, রহমত, ইস্তিগফার ইত্যাদি। ইসলামে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল (সা.) বলেছেন, কুফরি এবং মুমিনের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ।
নামাজ আদায়ের বহু উপকারিতা ও ফজিলত রয়েছে। এ সব ফজিলত ও উপকার নফল ও ফরজ উভয় ইবাদতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। মুসলমান হিসেবে আমাদেরকে ফরজ নামাজ অবশ্যই পড়তে হয়। কিন্তু ফরজের পাশাপাশি এমন কিছু নফল নামাজ রয়েছে যা পড়লে উভয় জাহানে ব্যাপক কল্যাণ অর্জন সম্ভব।
শনিবার রাতের ও দিনের নফল নামাজ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) ও হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, শনিবার রাতে চার রাকাত নফল নামাজ রয়েছে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি শনিবার দিন চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা পাঠাবেন, যারা কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকবে এবং কিরামান কাতেবিন তার জন্য শহীদের সওয়াব লিখতে থাকবে; সমুদ্রের ফেনা ও আকাশের তারকা সমান তার গোনাহ থাকলেও তা মাফ করে দেওয়া হবে।
রোববারের নফল নামাজ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, রোববার চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে।
সোমবারের নফল নামাজ
হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সোমবার দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, সে অসংখ্য সওয়াবের অধিকারী হবে। হজরত উমর (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি সোমবার দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, তার জীবনের সব পাপ মাফ করে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার রাতের ও দিনের নফল নামাজ
হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, মঙ্গলবার রাতে ছয় রাকাত নফল নামাজ আছে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, মঙ্গলবার দিনে ১০ রাকাত নফল নামাজ রয়েছে। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণনা করেন, মঙ্গলবার সূর্য ওঠার পর চার রাকাত নফল নামাজ পড়বে।
বুধবার রাতের ও দিনের নফল নামাজ
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, বুধবার রাতে চার রাকাত নফল নামাজ আছে। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় চার রাকাত নফল নামাজ পড়বে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, বুধবার দিনে চার রাকাত নফল নামাজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবারের নফল নামাজ
হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, বৃহস্পতিবার আট রাকাত নফল নামাজ পড়বে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, বৃহস্পতিবার আট রাকাত নামাজ রয়েছে।
জুমার রাতের নফল নামাজ
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, শবে জুমুআ বা জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার বাদ এশা) দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। এই নামাজ বিশেষ ফলপ্রদ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার রাতে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে, তার পঠিত প্রতিটি হরফে আলোর জ্যোতি তৈরি হবে। সেই আলো হাশরের দিন তার সামনে সামনে দৌড়াবে। তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে। দোজখ থেকে তাকে নিষ্কৃতি দেয়া হবে। সে ৭০ জন সগোত্রীয় পাপীর জন্য সুপারিশ করতে পারবে।
শুক্রবারের নফল নামাজ
জুমার দিনে মসজিদে গিয়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনে মসজিদে গিয়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়লে ওই নামাজির জান, মাল, সন্তান, পরিজন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের সম্পদ আল্লাহ তা’আলা অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।
মন্তব্য চালু নেই