সন্তানদের প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারেও নিষেধ করেছিলেন বিল গেটস ও জবস

মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস প্রযুক্তির ওপর ভর করেই বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তি হয়েছিলেন। তবে তিনি এতকিছুর পরেও তার সন্তানদের প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলেন। একই ধরনের বিষয় দেখা যায় অ্যাপলের প্রয়াত সিইও স্টিভ জবসের ক্ষেত্রেও। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।

বিল গেটস সম্প্রতি জানিয়েছেন, সন্তানদের বয়স ১৪ বছর হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেননি।

বিল গেটস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বয়ঃসন্ধির বয়সে বাচ্চারা সেলফোনের জন্য তাদের কাছে জেদ করতো। কিন্তু তিনি এবং স্ত্রী মেলিন্ডা ১৪ বছর বয়সের আগে পর্যন্ত তাদের অভিযোগে কান নেননি।

বাড়িতে গ্যাজেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজেরাও কিছু নিয়ম মেনে চলছেন, এসব ডিভাইস ব্যবহারের সীমা কতদূর হওয়া দরকার তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করতেন।

গেটস বলেন, ‘আমরা মাঝে মাঝে তাদেরকে কতক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকতে পারবে তার সময় বেঁধে দিতাম যাতে তারা সঠিক সময়ে যথেষ্ট ঘুমাতে পারে। ’

তিনি বলেন, ‘আপনি সবসময়ই এসব গেজেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাইবেন, যেমন, হোমওয়ার্ক করা বা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখা। এবং অবশ্যই এটাও দেখবেন যেন তা অতিরিক্ত হয়ে না যায়। খাবার টেবিলে আমরা কখনোই সেলফোন নিতান না। এমনকি বাচ্চাদের বয়স ১৪ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সেলফোন দেয়া হয়নি, যদিও অন্যরা অনেক কম বয়সে এসব ব্যবহার করতে পারছে বলে অভিযোগ করত তারা। ’

এদিক দিয়ে বিল গেটসের সঙ্গে অ্যাপলের প্রয়াত সিইও স্টিভ জবসের প্রচুর মিল রয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে বিল গেটসের সাথে অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের অনেক বিরোধ ছিল। কিন্তু একটা জায়গায় তাদের মধ্যে এতোটা মিল এর আগে জানা যায়নি।

স্টিভ জবস এমনকি তার সন্তানদের আইপ্যাডও ব্যবহার করতে দেননি। আইপ্যাড বাজারে আসার পর বাচ্চারা এটা পছন্দ করেছে কি না এমন প্রশ্নে স্টিভ জবস বলেছিলেন, ‘না, ওরা এটা ব্যবহার করেনি। বাড়িতে বাচ্চারা কতটুকু প্রযুক্তি ব্যবহার করবে আমরা তার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি। ’

ওয়াল্টার আইজ্যাকসন জবসের জীবনীতে লিখেছেন, প্রতি সন্ধ্যায়ই জবস তার রান্নাঘরের এক বিশাল লম্বা টেবিলে রাতের খাবারটা অর্থবহ করে তুলতেন বই, ইতিহাস এবং আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে। এই সময়টাতে কেউই কখনও আইফোন বা কম্পিউটার বের করত না। এসব ডিভাইসের প্রতি বাচ্চাদের মোটেও কোনও আসক্তি দেখা যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই