সনু অপেশাদার, আত্মপ্রচার না করলেও পারতেন : প্রিয়তি

বাংলাদেশের মেয়ে অভিনেত্রী মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি গত ১৪ বছর ধরে আয়ারল্যান্ডে বাস করছেন। গত বছর তিনি ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ খেতাবও পেয়েছেন। আজান নিয়ে সনু নিগমের সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনিও। বুধবার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে সনুকে একহাত নেন ‘মিস আয়ারল্যান্ড’।

তার স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো। তিনি লেখেন ‘জানতাম সনু নিগমের সুর বদলাবে, তার এখন আজান থেকে মাইকিং/উচ্চ শব্দের যন্ত্রের ওপর দোষ চড়িয়েছেন। সুতরাং উনি প্রথম থেকেই আজানের ওপর আঘাত না এনে উচ্চ শব্দ/শব্দদূষণ নিয়ে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, কেননা উচ্চ শব্দ নিয়ে কথা বললে তার কনসার্টগুলো বাদ পরে যাবে যে।

আমার জন্ম, আমার বাড়ি মসজিদের উল্টো পাশে বাড়িতে। আজান শুনতে শুনতে এমন অভ্যস্ত আমি ছিলাম যে আয়ারল্যান্ড এ আসার পর আমার ঘুম হতো না, আমি কাজ থেকে রাত ১১টায় এসে প্রতিদিন বাংলাদেশে মাকে ভোরে ফোন দিতাম বাড়ির সেই মুয়াজ্জিনের মধুর আজান শোনার জন্য। ১৫ বছর আগে বাংলাদেশে ফোন করাটা খুবই এক্সপেন্সিভ ছিল আর তার মধ্যে ছিলাম স্টুডেন্ট, লিমিটেড টাকা, তারপরও মন আর ব্রেইন এর এতোটুকুন শান্তির জন্য সেইটা জরুরি ছিল।

আজ যেহেতু সনু নিগম আজানের মধুরতা তার কাছ পর্যন্ত পৌঁছায়নি, আমি বলব এটা নেহাতই তার আত্মপ্রচারে জন্য। সে জানে কখন কোন পর্যায়ে তার নিজ কথার সুর বদলাতে হবে, আর সে এটাও জানে তার সাপোর্ট করার/ব্যাকআপ দেয়ার লোকও আছে এই পরিবর্তনে। কেননা, ভারতে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে ভেদাভেদ যদি থাকেও একজন হিন্দু জন্মের পর সেই ভাবেই আজান শুনে অভ্যস্ত ঠিক যেমন একজন মুসলমান।

সুতরাং সনু নিগম ও চল্লিশ বছর পর তার ব্যতিক্রম নয়। তার এইরকম অপেশাদার আত্মপ্রচার না করলেও পারতেন।’



মন্তব্য চালু নেই