সদ্যপ্রয়াত ফুপুকে শতক উৎসর্গ তামিমের
শোককে কিভাবে শক্তিতে অনুবাদ করতে হয় নিজের কঠিন সময়ে তা ক্রিকেটের বহু রঙে করে দেখালেন ব্যাটিং শিল্পী তামিম ইকবাল।
পাকিস্তানের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকা এই বিধংসি ব্যাটসম্যানটিকে দেখে গ্যালারির হাজারো দর্শকসহ টিভি পর্দায় ম্যাচটি উপভোগ করা কোটি দর্শকের কেউ হয়তো বুঝতেই পারেন নি কতোটা কষ্ট নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে তাকে।
সকাল বেলাই ভাইয়ের ফোনে জানতে পারেন তার ফুপু ফাতেমা হোসেনের মৃত্যুর কথা। সুস্থ স্বাভাবিক দেখে আসা ফুপুর এই হঠাৎ মৃত্যুর খবর তার কাছে কতোটা বেদনাময় ছিলো তা জানা যায় পরে তার কথাতেই।
দিনের খেলা শেষে তামিম বলেন, আমি সুজন ভাইকে (বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন) জিগগেশ করেছিলাম আমার ব্যাটিং শেষ হলে আমি চলে যেতে পারবো কি না।
‘তবে মাঠে নামলে এসব ভাবার কোনো সুযোগ থাকে না। কারণ তখন আমরা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি,’ পাথর সময়কে বুকে চেপে রেখে একের পর এক শটে সেঞ্চুরির পথে যাওয়ার সময়কে এভাবেই বর্ণনা করেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার।
ফুপুর সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা অনেক ঘনিষ্ঠ জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনটি তার পরিবারের জন্য অনেক দুঃখের।
ছলছলে চোখে ভাঙ্গা গলায় তামিম বলেন, ‘বাবা ও আমি খাওয়ার ব্যপারে খুব সৌখিন। এই ফুপু আমাদের মাঝে মাঝেই রান্না করে খাওয়াতেন। বাবার মৃত্যুর আগে আমার ও বাবার শেষ খাবারটা ফুপুর হাতেই তৈরি করা ছিলো।’
তামিম তার অপরাজিত ১৩৮ রানের অসামান্য ইনিংসটি তার ফুপুকে উৎসর্গ করেছেন।
মাত্রই চলে যাওয়া প্রিয় মানুষটিকে উৎসর্গ করা ইনিংসটি আরো দূর নিয়ে যেতে তামিম শনিবার যখন আবার মাঠে নামবেন, নিশ্চয়ই তখন তার জন্য সব শুভেচ্ছা নিয়ে তার পাশে থাকবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য চালু নেই