সত্যিকারের ভালবাসা যেভাবে বদলে দেয় জীবন
ভালবাসার সম্পর্ক বদলে দেয় আমাদের জীবনকে। ভালবাসা যেন অক্সিজেনের মত। অক্সিজেন ছাড়া যেমন আমাদের বেঁচে থাকা অসম্ভব তেমনি অসম্ভব বেঁচে থাকা স্নেহ-মমতার বন্ধন ছাড়া। তাই সারাজীবন আমাদের মন অপেক্ষায় থাকে এমন একজন মানুষের যে হবে আমাদের জন্য একেবারে পারফেক্ট। যার ভালবাসা পাওয়ার পর জীবন মনে হবে পূর্ণ। এই যে স্বর্গীয় ভালবাসা, তা কি শুধু শান্তিই দেয়? সেটা কিন্তু বদলেও দেয় আমাদের জীবন। এলোমেলো ছন্নছাড়া ছেলেটা হয়ে যায় একেবারে ভদ্র, দায়িত্বশীল। উদাসীন কবি কবি মেয়েটা হয়ে যায় রীতিমত সমঝদার। হঠাৎ যেন বদলে যায় অনেক কিছু। শুধু বাইরে নয়, বদল আসে মনেও। মনোবিজ্ঞানীরা এই পরিবর্তনকে ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে-
নিজের কষ্টগুলো ভাগ করে নিতে আর ভয় থাকে না
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই থাকে কিছু দুঃখ, কষ্ট, হতাশার গল্প। যেগুলো তারা কখনো কারও সাথেই শেয়ার করেন না। যত ঘনিষ্ঠ বন্ধুই হোক না কেন সেসব কথা শেয়ার করার ক্ষেত্রে অনেক সাবধানী হতে হয়, ভাবতে হয়। আপনি যখন একজন চমৎকার মানুষকে আপনার পারফেক্ট জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান তখন কেটে যায় আপনার ভয়। সাবলীল হয়েই আপনি মেলে ধরেন নিজেকে, প্রকাশ করেন সবটাই।
কেটে যায় আপনার সমস্ত সংকোচ
সঙ্গী যখন একেবারে মনের মত তখন তার কাছে আর কোন সঙ্কোচই থাকে না। দেখতে কেমন লাগছে, পোশাকে মানাচ্ছে কি না এই সব চিন্তাই গায়েব হয়ে যায়। কারণ আপনি জানেন, আপনি যেমনি হন না কেন আপনার সঙ্গী আপনাকে ভালবাসেন। আপনার আভূষণকে নয়।
দ্বিধার প্রকাশ নির্দ্বিধায়
আপনার পছন্দ-অপছন্দ সবই আপনি নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পারেন আপনার সঙ্গীর কাছে। অনেক কিছুই হয়ত আপনার ভাল লাগে না। আপনি চান না করতে। একটি পারফেক্ট সম্পর্কে কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না। আপনি স্বাধীনভাবেই নিজের মত প্রকাশ করতে পারেন।
স্পর্শের স্বাধীনতা
একটি সম্পর্ক কতটা গভীর তার উপর নির্ভর করে আপনি মানুষটিকে কতটা ঘনিষ্ঠ হতে দেবেন। ঠিক যেমন মানুষ আপনি চাইছিলেন আপনার জীবনে তেমনই একজনকে যখন পেয়ে যান তখন আর কোন অভিযোগ থাকে না, সংকোচ থাকে না। মানুষটির স্পর্শ মনে হয় একেবারে স্বাভাবিক, সহজ।
আপনার যত অদ্ভুত স্বভাব
আমাদের সবারই কিছু না কিছু অদ্ভুত স্বভাব থাকে। কেউ হয়ত সামান্য আবেগী আলোচনাতেই কেঁদে ফেলেন। কেউ বা অন্তর্বাস যেখানে সেখানে ফেলে রাখেন। কেউ রাতে ঘুমানোর সময় অনেক নড়াচড়া করেন। আপনি যতই অদ্ভুত হন না কেন আপনার প্রিয় মানুষটি কিন্তু আপনাকে আপনার মত থাকতে দিতে এতটুকুও দ্বিধা করবে না। তিনি আপনাকে নিয়ে বিব্রত বোধ করবেন না। তাকে পাশে পেয়ে আপনি হবেন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী।
মন্তব্য চালু নেই