সঙ্গীর মন গলে যায়…
কর্মব্যস্ত দিনশেষে ঘরে ফিরে চাই হাসিমাখা একটি সরল মুখ। সঙ্গীনীর মনের কুঠুরিতে একমাত্র নিজের আধিপত্য থাকবে, বুঝবো তার সবটুকু- এমনই আকুতি থাকে সব পুরুষের। এই বোঝার পথে কোনো প্রকার জটিলতা বা বাধা মেনে নেয়া খুবই কষ্টের। সব কাজ সামলে ঘরে ফিরে অশান্তি কারো কাম্য নয়। কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে মনের ওপর এর প্রভাব পড়ে প্রকট আকারে। তাই সঙ্গীর ভালোবাসা অটুট রেখে তার মন গলাতে সঙ্গীনীর হওয়া উচিৎ সামান্য কৌশলী..
সঙ্গীর কথায় গুরুত্ব
স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক বজায় রাখতে উভয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের প্রতি আন্তরিক থাকলে সম্পর্ক ভালো হওয়া সম্ভব। সঙ্গীর কথা বলার সময় মনোযোগ দিয়ে শুনলে সম্মানিত হন। কথার উত্তর দেয়ার সময় যুক্তিশীল আচরণে তার সম্মান আরও বেড়ে যায়। এতে উভয়ের সম্পর্ক আরও মধুর হয়।
স্বাধীন থাকতে দেয়া
বন্ধু বান্ধব বা নিজের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে একান্ত কিছু সময় কাটানোর সময় সঙ্গীকে বিরক্ত না করাই ভালো। এতে মনের পরিবেশের পরিবর্তন হয়। সঙ্গীর মনের আবহাওয়ায় একঘেয়েমি দূর হয়। তাই সঙ্গীর কাজে সব সময় খবরদারী না করে স্বাধীন থাকতে দিলে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বরং সঙ্গীনীর এই ছাড়ে পুরুষটি আরও আবেগে আপ্লুত হতে পারে।
পছন্দকে গুরুত্ব দেয়া
পুরুষেরা চান তার সঙ্গীনী পছন্দের গুরুত্ব দিক। এমনকি পুরুষেরা এটাও চান তার পছন্দের কাজে তার সঙ্গিনী যোগ দিন। সেটা হতে পারে সঙ্গীর সঙ্গে বসে খেলা দেখা বা খবর শোনা, সেগুলো নিয়ে যুক্তিশীল আলোচনা করা। শুধু তাই নয়, সঙ্গীর পছন্দের খাবার তৈরি করা, তার পছন্দে সাজ-গোজ করা ইত্যাদি।
ছোট ব্যাপারে না জড়ানো
সঙ্গিনীর সঙ্গে কেনাকাটা বা বাড়ির খুটিনাটি সব ব্যাপারে তাকে জানিয়ে মন বিষানো পুরুষের মোটেও পছন্দ না। তাই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্ব বুঝে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করলে উভয়ের মন খুশি থাকে।
সরল ভাষায় কথা বলা
মেয়েরা অনেক কথা নিজের মনের মধ্যে রেখে দেন। আশা করেন সঙ্গী মনের কথা বুঝে নিক। কিন্ত এই ব্যাপারটি পুরুষেরা একেবারেই পছন্দ করেন না। তারা চান তার সঙ্গিনী খোলামেলা ভাবে তাকে সব কথা জানিয়ে দিক।
জটিলতায় না জড়ানো
অধিকাংশ পুরুষ জটিলতা একদমই পছন্দ করেন না। তাই তাকে অযথা জটিল কোনো বিষয়ে না জড়িয়ে সোজা-সাপটা কথা বলার অভ্যাস করতে হবে। তাতে তার উদ্বিগ্নতা বাড়বে না।
মন্তব্য চালু নেই