সঙ্গীর আচরণে খটকা?
একটি সুন্দর ও স্বাভাবিক সম্পর্ক নিশ্চিন্তে রাখে উভয়কেই। স্বস্তি আর শান্তির আশ্বাস মেলে একে অপরের কাছ থেকে। মানুষের দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান কারণ হল সঙ্গীর সঙ্গে সব ব্যাপারে ভাগাভাগি করে নেয়া। কিন্তু সেই সম্পর্ক যদি কিছু ব্যাপারে চিন্তা বাড়াতে থাকে, তাহলে তাকে স্বাভাবিক সম্পর্ক বলা যায় না। সম্পর্কের খাতিরে কিছু বিষয় ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চান অনেকে, অথচ তা হয়তো ভবিষ্যৎ বিকট বিষ্ফোরণের ইঙ্গিত। তাই কিছু বিষয়ে খটকা থাকলে বুঝে নেবেন আপনার সম্পর্কটি স্বাভাবিক নয়, নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
– সঙ্গী আপনার বিশ্বাস কতোটুকু রক্ষা করতে পারে? বড় ধরণের কোনো বিষয় আপনিই আবিষ্কার করছেন নাকি সে নিজেই ধরা দিচ্ছে? যদি সঙ্গীর আচরণে আপনার মনে সন্দেহ তীব্র থেকে তীব্রতর হয় তাহলে বুঝবেন সম্পর্কটি স্বাভাবিক নয়। কারণ যে সম্পর্কে বিশ্বাস নেই সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।
– আপনাদের সম্পর্কের বয়স দীর্ঘ হলেও বাহ্যিক সৌন্দর্য সঙ্গী বা সঙ্গীনীর মনকে অস্থির রাখে। যদি আপনার সৌন্দর্য ঠিক রাখতে ব্যস্ত থাকে সেটা ভিন্ন, কিন্তু অন্যের প্রতি আকর্ষণ আপনাকে অবশ্যই ভাবাবে। তখন এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে যে, আপনি অসুস্থ সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন।
– সুস্থ সম্পর্ক মানে প্রতিটি মুহূর্ত একে অপরের উপর খরবদারি করা নয়। যদি সঙ্গী কোনো কারণে কিছুটা সময় যোগাযোগ নাও রাখতে পারে তাহলে চিন্তার কিছু নেই। অথচ আপনার চিন্তা বা তার চিন্তা হচ্ছে সম্পর্কে ঘাটতি যাচ্ছে। এ অবস্থা অবশ্যই খারাপ কিছু ইঙ্গিত করে। এমন আচরণ সুসম্পর্কের জন্য মোটেও সুখকর নয়।
– আপনি ছাড়াও অন্যের সঙ্গে সঙ্গী বা সঙ্গীনীর বন্ধুত্ব থাকতে পারে। চেষ্টা করুন তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে। অথচ তা না হয়ে যদি প্রশ্নবোধক হয় তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কে অসামঞ্জস্যতা চলছে। ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে এখনই নিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। সমস্যা সমাধানে দুজনে সময় নিয়ে আলোচনা করুন।
মন্তব্য চালু নেই