সকল বিরিয়ানির রাজা “লখনৌয়ি নবাবী বিরিয়ানি”, জেনে নিন রেসিপিটি!

এই বিরিয়ানির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এটি ভীষণ সুগন্ধি একটি বিরিয়ানি । ভারত এর লখনৌ হল নানান রকম বিরিয়ানির শহর। তবে এটিকে বলা হয় সব লখনৌয়ি বিরিয়ানির রাজা। বিভিন্ন রকম মশলার ঝাঁজ নয়,বরং রুচিকর সুগন্ধ প্রতিটি দানায় দানায়। আরও একটি বিশেষত্ব হল এই যে বিরিয়ানিতে গুঁড়ো বা বাটা মশলা নয় ,ব্যবহার করা হয় সব কাটা এবং আস্ত মশলা। একেবারেই কম ঝাল এবং আশ্চর্যজনক ফ্লেভারে ঠাসা। চলুন, জেনে নিই ফারহানা রহমান মিমির রেসিপি।

সুগন্ধি পানির জন্য উপকরণ :

১২ কাপ গরম পানি

২ টেবিল চামচ আদা কুচি

১টেবিল চামচ রসুন কুচি

হাফ টেবিল চামচ আস্ত গোলমরিচ

১০-১২টি এলাচ

২ টুকরা দারচিনি

১ চা চামচ আস্ত জিরা

১ চা চামচ মৌরি

১০টি লবঙ্গ

১চা চামচ জয়ত্রী

৩টি তেজপাতা

স্বাদমত লবণ

মুরগি রান্নার জন্য উপকরণ :

১ কেজি ওজনের মুরগি ছয় টুকরো করা

হাফ কাপ টকদই

৪-৫টি আস্ত কাঁচা মরিচ

স্বাদ মত লবণ

হাফ কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা

২ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা

১কাপ দুধ

১টি তেজপাতা

৫টি এলাচ

৬টি লবঙ্গ

১টুকরা দারুচিনি

৬টি গোলমরিচ

১ চা চামচ জয়ত্রী শুকনো ভেজে হাত দিয়ে গুঁড়ো করে নেওয়া

তেল পরিমাণ মত

৩ টেবিল চামচ ঘি

১ চা চামচ চিনি

চালের জন্য উপকরণ :

৪ কাপ বাসমতি চাল ১ ঘন্টা পানিতে ভেজানো (২৪০মি.লি. এর কাপ)

৭কাপ আগে করে রাখা সুগন্ধি পানি

৪-৫টি লবঙ্গ

লবণ

৪ টেবিল চামচ ঘি

৪টি আলুবোখারা

১মুঠো কিসমিস

অন্যান্য উপকরণ :

কাজু বাদাম

হাফ কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা

আস্ত ৪-৫টি কাচামরিচ

দুধে ভেজানো জাফরান

পদ্ধতি :

-প্রথমেই পানির জন্য উপকরণগুলো একটি ছোট্ট পাতলা সুতি কাপড়ে বেঁধে ১২ কাপ পানিতে দিয়ে দিন। এবার এই পানি ফুটাতে দিন। অল্প পরিমানে লবণ দিন। পানি ফুটে উঠলে তাতে মুরগির টুকরোগুলো দিয়ে দিন। না ঢেকে মুরগি পানিতে আধা সেদ্ধ করুন। এরপরে মুরগি তুলে নিন। পানি মশলা সহ ফুটাতে থাকুন। যখন পানি কমে ৭ কাপ হবে তখন চুলা বন্ধ করুন। মশলার পোটলা তুলে ফেলে দিন।

-এবার মুরগির জন্য বেরেস্তা করে নিন। হাফ কাপ তেলে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে তুলে নিন। মুরগির জন্য যেসকল উপকরণ সেখান থেকে তেল ও ঘি বাদে সব দিয়ে মুরগি মাখিয়ে নিন। এবার ওই তেলেই ঘি দিয়ে গরম করে মাখিয়ে নেওয়া মুরগি ছেড়ে দিন। ভালো মত কষিয়ে রান্না করুন। লবণ চেখে দেখুন। একটু পানি দিয়ে রান্না করুন। হয়ে গেলে সামান্য ঝোল সহ নামান। কিছুটা কোরমা মত হবে দেখতে।

-এবার চালের জন্য একটি ননস্টিক বড় হাঁড়ি নিন। ঘি দিন। ঘি গরম হলে পানি ঝরানো চাল দিন। সুগন্ধি পানিটুকু ঢেলে দিন। ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। লবণ চেখে দেখুন। লাগলে আরো লবণ দিন। পানি যখন প্রায় শুকিয়ে আসবে তখন কিসমিস এবং আলুবোখারা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দিন। সম্পূর্ন পানি শুকিয়ে গেলে চুল বন্ধ করুন।

-একটি বড় হাঁড়িতে রান্না করা মুরগি অর্ধেকটা দিয়ে তার উপর রান্না করা চাল অর্ধেকটা ছড়িয়ে দিয়ে উপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা,কাজুবাদাম ,কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে দিন। এর উপর বাকি মুরগি দিন। এবার উপরে আবার রান্না করা চাল দিয়ে ছড়িয়ে দিন। উপরে বেরেস্তা, কাঁচামরিচ,কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিন। সবশেষে জাফরান মেশানো দুধ ছিটিয়ে দিয়ে ঢেকে দিন।

-বড় পাত্রে পানি ফুটাতে দিন। পানি ফুটে উঠলে মাঝারি আঁচে ওই পাত্রের উপর বিরিয়ানির হাঁড়ি বসিয়ে দমে রাখুন ৩০ মিনিট। ব্যস! এবার পরিবারের সাথে উপভোগ করুন।

মনে রাখুন

-পেঁয়াজ বেরেস্তা পুড়িয়ে ফেললে বিরিয়ানির স্বাদ নস্ট হয়ে যাবে।

-ইচ্ছে করলে ঘি এর পরিমাণ আরো বাড়াতে পারেন।

-চাল সেদ্ধ করার সময় খুব বেশি যেন সেদ্ধ না হয়ে যায়।

-লবণের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেহেতু ৩ বারে লবণ দেওয়া , তাই অল্প অল্প করে লবণ দিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই