সংসদ সদস্যপদ যাওয়ার মত কিছু হয়নি: সুরঞ্জিত

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ যাওয়ার মতো কিছু হয়নি। তবে পন্ডিত ব্যক্তিরা বা হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট এর ব্যাখ্যা দিতে পারেন।

আজ সোমবার দুপুরে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু একাডেমি চলমান রাজনীতি বিষয়ক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ থাকবে কিনা? এর সাংবিধানিক ব্যাখ্যা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, এ সম্পর্কে দলের সাধারণ সম্পাদক কথা বলেছেন। তিনি একইসঙ্গে দলের নীতি নির্ধারক ও মন্ত্রী অর্থাৎ সরকারেরও নীতি নির্ধারক। তার বক্তব্যের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি শুধু সাংবিধানিক ব্যাখা দিতে পারি।

সুরঞ্জিত বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর নির্বাচনী এলাকা শূন্য হয়েছে বলে ঘোষণা করা মুশকিল হবে। তিনি পদত্যাগ করলে তা বলা যেত কিন্তু তিনি তো পদ ধরে রেখেছেন। একজন রাজনীতিকের মূল পরিচয় জনসমর্থন। তিনি যেসব কথা বলেছেন তাতে তার জনসমর্থন নেই। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনীতিকদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটে। সকলকে এ বিষয়ে দায়িত্ব নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় এগুতে হবে। সুরঞ্জিত আরও বলেন, আমরা আবারও প্রমাণ করেছি আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ কিন্তু ধর্মহীন দল নয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি পদ আঁকড়ে ছিলেন। তার পদত্যাগ না করাটা দুর্ভাগ্যজনক। এটি (অপসারণ) সহজ ব্যাপার ছিল না। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত শালীনতা ও ধৈর্যের সঙ্গে বিষয়টির মীমাংসা করেছেন। আমাদের সংসদীয় রাজনীতিতে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইর্য়ক সফরকালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী। এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনও কাম নাই। এদের কোনও প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, তাবলীগ জামাত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনও কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।

এই বক্তব্যের পর মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি উঠে।



মন্তব্য চালু নেই