সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে রওশন এরশাদের উদ্বেগ

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বর্তমানে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারা, বোমা বিস্ফোরণ, রেল লাইনের ফিশ প্লেট খুলে জনদুর্ভোগ বাড়ানো অনৈতিক ও অনভিপ্রেত। রাজনৈতিক দাবি আদায়ের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হরতাল-অবরোধ এখন আতঙ্ক ও দুর্ভোগের আরেক নাম। হরতাল-অবরোধের নামে একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটেই চলেছে।’

সোমবার এক বিবৃতিতে এসব বলেন রওশন এরশাদ।

বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, ‘দেশে চলমান হরতাল-অবরোধের কারণে অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আর্থিক খাতেগুলোর বাইরে শিক্ষাক্ষেত্রসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার নানা পর্যায়ে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। আমাদের শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশুদের পড়ালেখায় যেন বিঘœ না ঘটে, তাদের আগামীর পথ যেন আরো সুন্দর ও মসৃণ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে কর্মসূচি দিতে হবে।’

‘দেশ যখন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাতের বিশাল আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চলছে ঠিক তখনই হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটবে’, বলেন তিনি।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন বিরোধীদলীয় নেতা।

জাতীয় পার্টির এ নেতা আরো বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে রাজনৈতিক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প, কৃষি ও পরিবহণ খাত। অবরোধের কারণে চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন ও সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। ক্ষতির মুখে পড়ছে কৃষকও। কাঁচামাল সরবরাহ না হওয়ায় উৎপাদন কর্মকা- ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পুঁজিহারা হচ্ছে। বৃহৎ ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটছে। আর এর সবকিছুর প্রভাব পড়ছে আমাদের জীবনযাত্রার ওপর।’

রাজনৈতিক দলগুলোকে সাধারণ মানুষের মনের কথা উপলব্ধি করে কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান বিরোধীদলীয় নেতা।



মন্তব্য চালু নেই