শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৪ রান দিলেন সাকিব

২৯ রানেই শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট একাদশের নেই ৩ উইকেট নিয়েছে তাসকিন। ১১ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ টি উইকেট পেয়েছেন কাটার মুস্তাফিজ। শুভাশীষ রায় ৯ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেট শূণ্য। সৌম্য সরকার ৯ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ১ একটি উইকেট দখল করেছেন। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৯ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান। মেডেল পেলেন ৩ ওভার।

বলতে গেলে, বাংলাদেশি বোলারদের তোপেই পড়ে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে সেই চাপ অনেকটা সামলে ওঠার চেষ্টা করে তারা। এই উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন দিনেশ চান্দিমাল ও রোশান সিলভা।

ইনিংসের শুরু থেকেই জ্বলতে থাকা তাসকিন ভাঙেন এই জুটি। তিনি প্যাভিলিয়নের পথ দেখান রোশান সিলভাকে। লিটন দাসের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৮৫ বল মোকাবেলা করে পাঁচটি চারে ৩৮ রান নামের পাশে যোগ করেন রোশান। এটি তাসকিনের তৃতীয় শিকার।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬০ রান। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও ২৩১ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা।

এর আগে ৭ উইকেটে ৩৯১ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দিন আর নতুন করে ব্যাট করতে নামেননি টাইগাররা। এদিন লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। স্বাগতিক শিবিরে তাসকিনের জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। লঙ্কান ওপেনার আভিশকা ফার্নান্দোকে সরাসরি বোল্ডআউট করেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার। আভিশকার ব্যাট থেকে এসেছে ৩ রান।

এরপর তিনে ব্যাট করতে নামা ইরোশ সামারাসোরিয়াকে তো রানের খাতাই খুলতে দেননি তাসকিন। সামারাসোরিয়াকে মুশফিকুর রহীমের তালুবন্দি করান টাইগার এ পেসার।

তাসকিনের আহমেদের শিকার হয়ে তার দুই সতীর্থ বিদায় নেন। কিন্তু ওপেনিংয়ে খেলতে নামা রন চন্দ্রগুপ্ত ব্যাট করছিলেন ঠাণ্ডা মাথায়। ৪২ বল মোকাবেলা করেছেন এই লঙ্কান ওপেনার। করেছেন ২০ রান।

কিন্তু বেশিক্ষণ আর ক্রিজে থাকতে পারলেন না চন্দ্রগুপ্ত। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তাকে সাজঘরে ফেরালেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ২৯ রানের মাথায় লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মুস্তাফিজকে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৬ রান করেন তামিম ইকবাল। ৭৩ রান আসে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ৪৩ রান। সাকিব ৩০ ও মুশফিক ২১ রান করে আউট হন। ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস।



মন্তব্য চালু নেই