শ্রীমঙ্গলে দ্বিতীয় দিনের মত শ্রমিক ধর্মঘট চলছে

সৌরভ আদিত্য, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : পরিবহন শ্রমিকদের উপর হামলার বিচার এবং গাড়ী ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টান ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষতি পূরনের দাবীতে আজ শনিবার সকাল ৬ টা থেকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্তরে পরিবহন শ্রমিকদের এক বিশাল সমাবেশ থেকে এ ঘোষনা দেওয়া হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক সজিব আলী, মৌলভীবাজার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জামাল মিয়া, সম্পাদক অদুদ মিয়া, ট্রাক লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি ঝিনু মিয়া, সম্পাদক শাহজাহান, কার , মাইক্রোবাস, বাস শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রীমঙ্গল শাখার সভাপতি ময়না মিয়া, সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলেন আগামী ৮ জানুয়ারীর মধ্যে যদি বিজিবি সদস্যদের বরখাস্ত্য করে শাস্তি নিশ্চিত এবং পরিবহন ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ না দিলে সিলেট বিভাগকে অচল করে দেওয়ার কথা বলা হয়।

এদিকে শুক্রবার রাত্র ০৯.০০ ঘটিকায় শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতিরি এক মতবিনিময় সভায় আগামী ১৪ই জানুয়ারি পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করেছে শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি। ব্যবসায়ী সমিতিরি কার্যকরী সদস্য সোলেমান আহম্মদ মানিক জানান আগামী ১৪ই জানুয়ারীর মধ্যে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান না করলে তারা পুনরায় আন্দোলনের ডাক দিবেন।

শ্রীমঙ্গল পর্যটন এলাকা হওয়ায় পর্যটক ও সাধারন মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পুলিশের টহল জোড়দার করা হয়।

এদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট ফারুক আহমেদকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভানুগাছ ষ্ট্যান্ড এলাকায় বিজিবি চালকের সাথে এক পরিবহন শ্রমিকের কথা কাটাকাটির জের ধরে কিছু বিজিবি সদস্য ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । পরে বিজিবি সদস্যরা শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ী পথচারীর উপর নির্বিচারে হামলা চালায়। ভাংচুর করে কয়েকশত গাড়ি , দোকানপাট। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন ৬জন এবং প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।



মন্তব্য চালু নেই