শ্রীনগরে সড়ক ও জনপথের বেইলী ব্রিজের ৫ টন চোরাই মালামাল উদ্ধার

নাসরিন আক্তার, মুন্সীগঞ্জ থেকে : শ্রীনগরে সড়ক ও জনপথের একটি বেইলী ব্রিজের প্রায় ৫ টন চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার বীরতারা চান্দারটেক এলাকার একটি ভাঙ্গারী দোকান থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, এসময় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৩০) পালিয়ে যায়। সে বীরতারা কাঠাল বাড়ী এলাকার পবন শেখের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, শ্রীনগর থানার এসআই পঙ্কজ খবর পেয়ে ওই এলাকায় উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বীরতারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাবেক সভাপতি সাব্বির ও রতন মেম্বার। তারা দুজন এসআই পঙ্কজকে ম্যানেজ করার জন্য চা খাওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে অর্ধ কিলোমিটার দুরে দয়হাটা বাসষ্ট্যান্ডে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে পুলিশের কাছে সাব্বির ও রতন মিলে নজরুলকে ভালো ছেলে হিসাবে প্রমান করতে ব্যস্ত হয়ে উঠে। কিন্তু কোন ভাবেই পুলিশকে ম্যানেজ করতে না পেরে মামলার এজাহারে উদ্ধারকৃত মালামালের পরিমাণ কম লেখার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। শ্রীনগর সড়ক উপ-বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মালামাল গুলো শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়কের সিংপাড়া এলাকার জোড় বেইলী ব্রিজের একটির।

সম্প্রতি প্রায় ৮০ ফুট দীর্ঘ ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে গেলে তা পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এজন্য ওই অফিসের বেইলী মিস্ত্রি আব্দুল মান্নানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার নেতৃত্বে ভাঙ্গা ব্রিজটি অপসারণ ও নতুন ব্রিজ স্থাপনের কাজ একই সাথে চলতে থাকে। কাজটির দতারককারী হিসাবে নিয়োগ করা হয় উপ সহকারী প্রকৌশলী সোহেল মিয়াকে।

তিনি জনান, আব্দুল মান্নান কাজটি সম্পূর্ণ করে তাকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। এর আগেই গ্যাস কাটার দিয়ে কেঁটে পুরাতন ব্রিজের মূল কাঠামোটি সরিয়ে ফেলা হয়। যেগুলো পুলিশ উদ্ধার করেছে।

শ্রীনগর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ হায়দার কামরুজ্জামান জানান, মালামাল গুলো সনাক্ত করা হয়েছে। অফিসের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে। তাছাড়া মিস্ত্রি আব্দুল মান্নান সহ অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই