শ্রাবন্তী কেন আপত্তি করবে? প্রশ্ন সাবেক স্বামী রাজীবের
ডিভোর্সের পরে এই প্রথম প্রাক্তন স্ত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক রাজীব বিশ্বাস৷ বললেন, ছেলের কথাও। কিন্তু, এড়িয়ে গেলেন শ্রাবন্তীর বিয়ের প্রসঙ্গ। শুনলেন নবনীতা দাশগুপ্ত
প্রশ্ন: আপনার নায়ক হতে ইচ্ছা করে না? যদি শোনেন আপনার হিরোইন হিসাবে কাজ করবেন শ্রাবন্তী, করবেন না?
রাজীব বিশ্বাস: না৷ কারণটা শ্রাবন্তী নয়। আসলে নায়িকার নাম জানার আগেই ‘না’ বলে দেব৷ নায়কটাই যে হতে চাই না৷ আগে অফারের কথা বলবেন, তারপর তো নায়িকার কথা বলবেন প্রযোজক বা পরিচালক৷ আমি নায়কের আসনে নিজেকে দেখতেই চাই না৷ সো প্লিজ…
প্রশ্ন: ছবি বানাতে গিয়ে যদি মনে হল কোনও চরিত্র শ্রাবন্তীর জন্য দারুণ ফিট, কী করবেন? ডেকে নেবেন?
রাজীব বিশ্বাস: প্রযোজকের আদেশ থাকলে ডাকতে তো হবেই৷ আলবাত ডাকব৷ শ্রাবন্তী খুব ভাল অভিনেত্রী৷ ওঁর লুকস নিয়েও ইন্ডাস্ট্রি আপ্লুত৷ একসঙ্গে আবার কাজ করতে হলে আমার কোনও আপত্তি নেই৷ ডিভোর্সটা তো আর আড়ি-ভাবের খেলা নয়৷ থাকা গেল না, তাই থাকাটা হল না একসঙ্গে৷ এর প্রভাব আমাদের কাজে পড়বে না কখনও৷
প্রশ্ন: ভেঙে যাওয়া একটা সম্পর্ক– ইমোশন বলেও তো একটা জিনিস আছে! তাই বললাম…
রাজীব বিশ্বাস: ইমোশন কাজ করবে হয়তো৷ এত বছর একসঙ্গে ঘর করেছি, তার একটা প্রভাব তো আছেই৷ কিন্তু আমরা, মানে এই ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা অনেক বেশি প্র্যাকটিক্যাল৷ কাজের সঙ্গে আমরা সম্পর্ককে গুলিয়ে ফেলি না৷ কাজের সময় তুমি আমার কেউ নয়, কেউ ছিলেও না৷ তুমি শুধুই আমার সহকর্মী৷ ব্যস৷
প্রশ্ন: ছেলের সঙ্গে দেখা হয়?
রাজীব বিশ্বাস: হ্যাঁ, হয় তো! ওর ছুটি থাকলে আর সে দিন আমি ফ্রি থাকলে বাপ-ছেলেতে মিলে বেরিয়ে ফুলটুস মস্তি করি৷
প্রশ্ন: শ্রাবন্তী আপত্তি করেন না?
রাজীব বিশ্বাস: কেন করবে? ও ঠিক তেমনটা নয়৷ আর করবেই বা কেন? ছেলেটা তো আমারও৷
প্রশ্ন: নিজের জীবনে নতুন কোনও ইনিংস নিয়ে কি কিছু ভাবছেন?
রাজীব বিশ্বাস: সময় পাইনি ভাবার৷ হাতে প্রচুর কাজ৷ একটু সামলে নিই৷ ইচ্ছে হলে ভেবে দেখব। -সংবাদ প্রতিদিন।
মন্তব্য চালু নেই