হামলার আগের দিনই থানায় জিডি করেছিল নিহত হামলাকারীর বাবা

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানের প্রবেশ পথে নিরাপত্তা চৌকিতে পুলিশে সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত যুবক আবির রহমান (২৩) আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল। হামলার আগের দিনই আবিরের বাবা সিরাজুল ইসলাম তার ‘নিখোঁজের’ বিষয়ে ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

শুক্রবার (৮ জুলাই) যুবকের পরিচয় প্রকাশের সময় সিরাজুল ইসলামের বরাত দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। ভাটার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল মুত্তাকিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের দিন (বুধবার) সন্ধ্যায় সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার ছেলে নিখোঁজ হয়েছে দাবি করে থানায় একটি জিডি করেছেন।’

এর আগে বিকেলে পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খানের বরাত দিয়ে কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নিহত যুবক আবির বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৪ রোডের একটি বাসায় থাকতেন (হাউজ ৫১/এ)। সে গত ১ মার্চ নিখোঁজ হন। নিখোঁজ সংক্রান্ত ভাটারা থানায় তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ঈদের আগের দিন একটি জিডি করেন। জিডি নম্বর ২৯৪ (৬-৭-২০১৬)।

তিনি আরো জানান, সন্ত্রাস দমন ও বিস্ফোরক আইনে মামলা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহত আবির কুমিল্লার দেবিদ্বারের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর শেষ বর্ষের ছাত্র।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের পথে নিরাপত্তা চৌকিতে তল্লাশির সময় জঙ্গিরা কর্তব্যরত পুলিশের সদস্যদের উপর বোমা হামলা চালায়। এসময় পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হয়। অন্যরা এগিয়ে এলে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় জঙ্গিদলের এক সদস্য। মৃত্যুর ১৮ ঘণ্টা পর জানা যায় হামলাকারী আবির রহমান।

আনোয়ার হোসেন খান আরো জানান, নিহত সন্ত্রাসী আবিরের মরদেহ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর জুহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টার দিকে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় দুই পুলিশ, গৃহবধূ ঝর্না রানী ও সন্ত্রাসী আবির নিহত হয়। এছাড়া আহত হন আরো অন্তত ৮ জন। এদের মধ্যে ৬ পুলিশ সদস্যকে গুরুতর অবস্থায় হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই