শোক দিবসের নামে চাঁদাবাজি হলে শাস্তি : মায়া

জাতীয় শোক দিবসের নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার কঠোর শাস্তির দেওয়া হবে বলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জাতীয শোক দিবসের কর্মসূচি ঘোষণাকালে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বলেছেন, ‘অনেকে আওয়ামী লীগের গন্ধ পেলেই হেয় করার জন্য নানা অপপ্রচার চালায়। তাই শোক দিবসের নাম করে কোনো ধরনের চাঁদা তোলা যাবে না। কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির অবস্থান এখনো মেঘাচ্ছন্ন। তাদের পেটে এক কথা, মুখে আরেক কথা।নির্বাচনে না এলে বিএনপির অবস্থা মুসলিম লীগের মতো হবে।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘২০১৯ সালে নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বিএনপি বর্তমান জাতীয় সংসদে না থাকায়, তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার সুযোগ নেই।’

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। মনে হচ্ছে, বিএনপি সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি ও আশা করি, তারা পৈশাচিক কোনো কর্মসূচি আর তারা দেবে না।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই