শেয়ার বাজারে দরপতন

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় অর্ধের (জানুয়ারি-জুনের) মুদ্রানীতি ঘোষণার পর শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। লেনদেনের শেষ অবধি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্সের (ডিএসইএক্স) পতন হয়েছে ২ শতাংশেরও বেশি।

রবিবার লেনদেনের শুরুতে ডিএসইএক্স ছিল ৫৬১৮.৬৪ পয়েন্ট। দিনশেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫০০.৮৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ একদিনেই ডিএসইর প্রধান এ সূচকটির পতন হয়েছে ১১৭.৭৯ পয়েন্ট। ডিএসইর পাশাপাশি দেশের পর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় ধরনের পতন হয়েছে। সিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২৫২ পয়েন্ট।

সম্প্রতি শেয়ারবাজারে কিছুটা গতি সঞ্চার হয়েছে। রবিবার সে গতিতে বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে বাজার।

অবশ্য দিনের শুরুতে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে বেলা সাড়ে ১১টায় নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকেই পাল্টে যায় বাজারের দৃশ্যপট। একের পর এক কোম্পানির দর কমতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাজারে দর পতন ঘটে। সে পতন থেকে আর বের হয়ে আসতে পারেনি বাজার। ফলে মূল্য সূচকের বড় ধরনের পতন দিয়েই শেষ হয় দিনের লেনদেন।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা য়ায়, রবিবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ২৭৫টিরই দরপতন হয়েছে। অপরদিকে ৪৭টির দাম বেড়েছে এবং ৫টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। লেনদেন হওয়া ২৬৩টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ২১৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির।



মন্তব্য চালু নেই