শেষ মহুর্তে সিরাজগঞ্জে ভোটের প্রচারণা জমজমাট
প্রচারনার শেষ মুহুর্তে এসে সিরাজগঞ্জে প্রার্থী আর তাদের সমর্থকদের পদচারনায় জমে উঠেছে এই জেলার ছয় পৌরসভার নির্বাচন। ভোর থেকে গভীর রাত অবধি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭জন প্রার্থী। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ করতে এই এলাকায় সেনা মোতায়েনের দাবী করেছেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এডভোকেট মোকাদ্দেস আলী। আর আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়ের থেকে ব্যক্তি পরিচয়কে প্রাধান্য দেবেন এই এলাকার ভোটাররা।
নির্বাচনী প্রচারনার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা আজ বাদে সময় পাচ্ছেন আরো একটি দিন।
সকালে শহরের হোসেন পুরের বাসভবনে কথা হয় বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এডভোকেট মোকাদ্দেস আলীর সাথে। সময়ের কন্ঠস্বরকে তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় এই এলাকায় সেনা মোতায়েন প্রয়োজন। আর শহরের হোমিও বালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কথা হয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তার সাথে। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীই যথেষ্ট। সেনা মোতায়েনের কোন প্রয়োজন দেখেন না তিনি।
এদিকে আগামী ৩০শে ডিসেম্বরের ভোটগ্রহনকে কেন্দ্র করে পুরো সিরাজগঞ্জে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সিরাজগঞ্জ সদর ছাড়াও কাজিপুর, বেলকুচি, উল্লাপাড়া, শাহাজাদপুর ও রায়গঞ্জ পৌরসভায় এই পর্যায়ে ভোট হবে। সিরাজগঞ্জ সদরে মোট ভোটার এক লাখ ৯৩৩।
শহরের চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচনী আলোচনায় সময় পার করছেন স্থানীয় ভোটাররা। যদিও রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে প্রথমবারেরমত নির্বাচন, তারপরও ভোটাররা শুধু দলীয় পরিচয়ে ভোট দেবেনা বলেই মনে করছেন তারা।
সদর পৌরসভার মেয়র পদে ৭জন, সাধারন কাউন্সিলর ৯২জন আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য চালু নেই