স্টাফ রিপোর্টার :: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। বর্তমানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তিনি জোর করে দেশ চালাচ্ছেন।
সোমবার রাত ৯টায় চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিক নেতাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারিতে কোন নির্বাচন হয়নি। এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশের ৫ ভাগ মানুষও শেখ হাসিনার নির্বাচনে ভোট দেয়নি। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সেদিন নিজেদের ইচ্ছেমতো সিল মেরে নির্বাচন সাজিয়েছেন।
এ সময় জাতীয় পার্টিকে তথাকথিত বিরোধী দল বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশের জনসমর্থনে আপনি ৫ ভাগ মানুষেরও ভোট পাবেন না। আমি-ই দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের নেত্রী।
‘খালেদা জিয়া তো বিরোধী দলীয় নেতা নন, তার সঙ্গে কীসের কথা?’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে চেয়ারপারসন বলেন, আমি বিরোধী দলীয় নেতা নই, আমি জনগণের নেতা, আমার সঙ্গেই কথা বলতে হবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন আপনি নিজে সংলাপে বসার কথা বলবেন।
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় আপনি সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। একদিন আপনাকে এই কারণে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
কালশীর ঘটনায় সরকারদলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লাকে দায়ি করে তিনি বলেন, এখনো কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? আমরা ক্ষমতায় এলে এ ঘটনার বিচার করা হবে।
এসময় সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এমএ আজিজ, সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ড. আর এ গনি, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই