শুধু উল্লাসই নয়, বইছে মাতমও

সংকটে ছিলেন তিনি। গেলেন আনন্দঘন মুহূর্তে। দলটি ঘোর অন্ধকারে তিনি আলোকবর্তিকা হয়ে সে ঘোর কাটিয়েছেনও কয়েকবার। নেতা সৈয়দ আশরাফের হাতে তেমনি আরেকবার আলো পায় স্বাধীনতার সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

১/১১-এর প্রেক্ষাপট। মাইনাস টু ফর্মুলার ঘনঘটা চারদিকে। দলীয় সভাপতি কারাবন্দি। পিঠ বাঁচাতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও তখন উত্তর পাড়ায় যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। যারা বন্দি ছিলেন, তারাও নানা হিসাব আর দেনদরবার করেছেন সেনা কর্তাদের সঙ্গে। বাকিরা আত্মগোপনে থেকে সুসময়ের অপেক্ষায় ছিলেন।

তবে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। বরং চরম ক্রান্তিকালে হাল ধরে দলকে রক্ষা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

ক্লিন ইমেজ এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী সৈয়দ আশরাফ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেয়ার পরই দলের ভাবমূর্তি চাঙ্গা হতে থাকে। সময়ের ব্যবধানে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেন তিনি।

গত ২৩ অক্টোবর দায়িত্ব ছেড়েছেন। নয়া কমিটি নিয়ে উল্লসিত দল, দলের নেতাকর্মীরা। আলোচনা হচ্ছে দলের বাইরেও।

তবে এসব উল্লাস, আনন্দকে ছাপিয়ে যেন আশরাফেই থাকছে আলোচনা। কেন তিনি অব্যাহতি নিলেন, দলীয় সভানেত্রীর তাকে নিয়ে বিশেষ কোনো ভাবনা আছে কিনা, যিনি আসলেন তিনি আশরাফের স্থলে কতটুকু সফল হবেন- এমন সব হিসাব-নিকেশ নিয়েই চলছে নানা বিশ্লেষণ।

গণমাধ্যমের পাশাপাশি এসব বিশ্লেষণ এখন সামাজিক মাধ্যমেও। অনেকেই লিখছেন, আশরাফের বিকল্প আশরাফ-ই। দলের জন্য এমন নিবেদিত নেতা পাওয়া ভার। আবার নেতাকে স্বাগত জানিয়ে কেউ কেউ লিখছেন, সৈয়দ আশরাফের জন্য আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এ বিষয়ে বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে অনেককেই দেখেছি। কিন্তু সৈয়দ আশরাফকে আলাদা করেই মূল্যায়ন করতে হয়। তার তুলনা তিনিই।

কথা হয় দলের প্রচার উপ-কমিটির এক নেত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, নতুন সাধারণ সম্পাদকও পরীক্ষিত। মাঠের মানুষ। নেত্রীর আস্থা আছে বলেই এমন চমক। কিন্তু আশরাফ ভাইয়ের প্রতি যে ভরসা তা তো হঠাৎ করে অন্য কোথাও মিলবে না। আশরাফ ভাইকে হয়তো আরো বড় জায়গায় দেখব আমরা, আর সেটিই হবে দলের জন্য আরেকটি চমক।



মন্তব্য চালু নেই