শীত মৌসুমেও হালদার ভাঙ্গন তীব্র

ভাঙ্গন মানেনা কোন ঋতু, মানেনা কোন মাস আবার বর্ষা বা শীত। শীতের মৌসুমেও হালদার ভাঙ্গন মিনিটের মধ্যে তীব্রতর হচ্ছে। হালদা ও সর্ত্তা নদীর থমকে থমকে স্রোতে হালদা পাড় ভেঙ্গে গড়িয়ে পড়ছে নদীর গহিনে। রাউজানের গণমানুষের বহু প্রতিক্ষিত হালদার ভাঙ্গণরোধে হাজার কোটি টাকার বরাদ্ধ দিলেও হালদার ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা পাড়বাসী। অতি শীঘ্রই টেন্ডার আহবান করে উপজেলার নদী পাড়ের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকার হাজার হাজার পরিবারকে ভাঙ্গণ থেকে রক্ষা করতে পাথর ব্লক বসানোর কাজ শুরু করাবার কথা। কিন্তু ব্লক বসানোর আগেই শীত মৌসুমেও ছোবলে বিলিন হচ্ছে হালদার পাড়। জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়নবোর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে বরাদ্ধ অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। উক্ত বরাদ্ধকৃত টাকায় উপজেলার হালদাপাড়ের যেসব এলাকা বেশী ভাঙ্গণ ঝুঁকিতে রয়েছে সেসব এলাকায় ভাঙ্গণরোধে পাথর ব্লক বসানোর কাজ করা হচ্ছে বা হবে। বরাদ্ধকৃত অর্থের টাকা উপজেলার বিভিন্ন ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা রক্ষার্থে পাথর ব্লক নিমার্ণে ব্যয় করা হবে। হাদার ভাঙ্গন এখন কি রক্ষা করা যাবে যে কোন মূল্যে। শীতেও বিলিন হচ্ছে হালদা পাড়ের শত শত বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, বসতভিটা হারাচ্ছে অসংখ্য পরিবার। উপজেলার হালদার নদীর পাশবর্তী বাসিন্দাদের কি শুরেহা হবে। হালদার নদীর পাড় নদীর গর্ভে বিলিন হচ্ছে বসতভিটাসহ ফসলীজমি। হালদার যেসব এলাকা ভাঙ্গণ ঝুঁকি বেশী নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নদিমপুর, গহিরা ইউনিয়নের কোতোয়ালীঘোনা-ব্রীক ফিল্ড, সত্তারঘাট, পশ্চিম গহিরা, গড়দুয়ারা, কাগতিয়া, আমতোয়া, আজিমেরঘাট, উরকিরচরসহ বিভিন্ন এলাকায় বর্ষার মৌসুমে হালদার ভাঙ্গন তীব্রতর হচ্ছে। হালদার স্রোতে বিলিন হয়ে নদীর গর্ভে গড়িয়ে পড়ছে ভিটামাটিসহ ধানি জমি। এদিকে হালদা পাড়ের গ্রামের মানুষের রাতদিন কাটছে নদীর ভাঙ্গণ আতঙ্কে। এসব গ্রামের পাশ ঘেষে প্রবাহিত হালদা নদীর ভাঙ্গণ এখন তীব্র হওয়ায় প্রতি মহুর্তে বাড়ীঘর হারানোর আতঙ্কে থাকে এলাকার লোকজন। তাদের শেষ সম্বল বাপ-দাদার বাড়ী ভিটে, ঘরবাড়ী, গাছ-পালা কিছুক্ষণ পরপর হালদা নদীতে ভেঙ্গে পড়ছে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পশ্চিম নদিমপুর, কোতোয়ালীঘোনা, ব্রীক ফিল্ড, গড়দুয়ারা, মোকামী পাড়া গ্রাম ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে। অত্র এলাকায় বিশাল আকারের ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ভাঙ্গণ তীব্র হওয়ায় সংবাদ জেনে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে ভাঙ্গন কবলিতস্থান পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্থানীয় এমপি।



মন্তব্য চালু নেই