শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামে আবারো জনজীবনে দুর্ভোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে শীত ও কনকনে ঠান্ডায় আবারো জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জনপদ। দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সুর্যের দেখা না মেলায় বাড়ছে ঠান্ডার তীব্রতা।

কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা উঠা নামা করছে ১১ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।

গরম কাপড়ের অভাবে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। রেহাই পাচ্ছে না গবাদি পশু-পাখিও। এ অবস্থায় সময় মতো মাঠে যেতে পারছেন না কৃষি শ্রমিকরা। ফলে বোরো চাষে সময়মতো চারা লাগাতে পারছেন না কৃষকরা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষেরা।

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, চলতি বোরো মৌসুমে জমিতে চারা লাগানোর সময় এটা। দুই দিন থেকে যে ঠান্ডা পড়ছে এতে করে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ঠান্ডায় কেউ মাঠে কাজ করতে চায় না।

একই ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক আবেদ আলী জানান, সকাল ১০ টা বাজে এখনও ঠান্ডা কমে নাই। আগুনের পাড়ে বসে আছি। গরম কাপড় নাই, কাজে যেতে পারছি না।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের অপর এক কৃষি শ্রমিক আয়নাল হক জানান, জমিতে বোরো চারা লাগানোর কাজ করতে আসছি। কিন্তু থাকা যায় না খুব ঠান্ডা। হাত-পা অবস হয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাকির হোসেন জানান, আজ কুড়িগ্রামের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারী ভাবে ৫৪ হাজার ৩শ ৮৫ টি কম্বল বিতরন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই