শিশুর মানসিক পরিবর্তনের সময় করণীয়

শিশুর বেড়ে ওঠার প্রথম জায়গা তার পরিবার। তার মানসিকতা তৈরির প্রথম সহায়ক হচ্ছে তার বাবা, মা, ভাই, বোন কিংবা নিকট আত্মীয়। শিশুরা তাদের প্রতিটি কাজে প্রায়ই ভুল করে থাকে। তবে বড়দেরও কিছু সময় বড় ধরণের ভুল হয়ে থাকে। তারা শিশুদের এই মানসিক পরিবর্তনের সময় কিছু ক্ষেত্রে ভুল করে থাকেন। বিষয়গুলো ছোট হলেও তার প্রভাব বড় আকারে পড়ে শিশুদের মনে। তাই তাদের সাথে মেশার সময়, তাদের মানসিকতা বুঝে আগানো উচিৎ। এতে তার বেড়ে ওঠা আর তার মানসিক পরিবর্তন দুই সঠিক ভাবে হবে।

সমান ভালোবাসা
পরিবারে যতদিন একটি সন্তান থাকে তাকে নিয়ে বাবা মায়ের আনন্দ ভালোবাসা একই থাকে। তার জন্মদিন ঘটা করে পালন করা, তাকে নিয়ে ছবি তোলা, ঘুরতে যাওয়া এসব ক্ষেত্রে প্রথম সন্তান এবং একমাত্র সন্তান প্রথম দিকে প্রাধান্য পায়। যখনই আরো একটি ছোট বোন বা ভাই পরিবারে আসে তখনই দুজনের মাঝে তারতম্য দেখা দেয়। বড় সন্তানকে বোঝানো হয় যে সে বড় আর বড়দের জন্মদিন না করলেও চলে। যা তার ছোট মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। আর সাথে সাথে জন্ম দেয় হিংসার। তাই তাদের মধ্যে পার্থক্য না করে দুই জনকেই সমান প্রাধান্য দিন।

অহেতুক আশা:
শিশুদের অহেতুক আশা দেবেন না। তাদের কোনো ব্যাপার নিয়ে লোভ দেখাবেন না। তাদের সেটাই বলুন, সেটাই বোঝান যা আপনি করতে পারবেন। শিশুদের সত্যি কথা বলতে শেখান। তাদের আপনার সামর্থ্য সম্পর্কে সোজাসাপটাভাবে না বলে আদর করে বুঝিয়ে বলুন। আপনি যদি তাকে ছোট থেকেই মিথ্যা আশ্বাস দেন, অহেতুক বোঝান তবে সে বড় হয়েও তাই অন্যদের বোঝাবে। তাই ছোট থেকেই শিশুকে অহেতুক আশা থেকে দূরে রাখুন। তার মানসিক পরিবর্তনের সময় তাকে তাই শেখান যা তার জন্য জরুরি।

বন্ধু :
অনেক শিশুই বাড়িতে একা থাকে। কখনো আয়া, কখনো বুয়া বা আত্নীয়ের কাছে। আর এই একা থাকতে থাকতে তাদের কল্পনায় কখনো কখনো কখনো বন্ধু নামক একজন মানুষের সৃষ্টি হয়। সে তার সাথেই সময় কাটায়, তাকে তার মনে কথা বলে। আর এমনটা প্রায় শিশুরই ক্ষেত্রে ঘটে। তাই এটিকে তার সামনে বিশাল আকারে ধরে তুলবেন না। তাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে কষ্ট দিয়ে কথা না বলে তার মানসিক পরিবর্তনের সময় তাকে সাহায্য করুন।

পর্যবেক্ষণ :
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে দেখেই আপনার শিশু অনেক কিছু শিখছে। তাই তার সামনে এমন কিছু করবেন না যাতে তার মানসিক পরিবর্তনে তা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।



মন্তব্য চালু নেই