শিশুর উদ্বিগ্নতা কমাবেন যেভাবে

উদ্বিগ্নতার সমস্যা যে শুধু বড়দের তা কিন্তু নয়। শিশুরও থাকতে পারে এই একই সমস্যা। অল্পতে চিন্তিত হয়ে পড়া, দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে না পারা, অসুস্থ্ হয়ে পড়া এসব সমস্যা হতে পারে তারও। আপনি নিশ্চয়ই এমন শুনেছেন বা দেখেছেন যে, পরীক্ষার আগেরদিন শিশু এতই চিন্তিত ছিল যে তার জ্বর চলে এসেছে বা প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে। শিশুকে এই উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত রাখতে পারেন একমাত্র আপনি। অভিভাবক হিসেবে করুন এই কাজগুলো-

উৎসাহ দিন
শিশুকে সর্বোক্ষণ উৎসাহ দিন। আপনার শিশু অবশ্যই যে কোন কাজে পারদর্শী হবার যোগ্যতা রাখে। আপনি নিজে যেমন সেটা বিশ্বাস করা জরুরী তেমনি শিশুকেও এই বিশ্বাস দিন। সে যা করবে সেটাই হবে সুন্দর এবং শ্রেষ্ঠ।

ইতিবাচক হন
শিশুর সাথে নেতিবাচক আচরণ করবেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের উদ্বিগ্নতার পেছনে প্রধান কারণ থাকে কোন ভয়ের স্মৃতি। সেই ভয় আসে বাবা-মা বা শিক্ষকের কাছ থেকেই। হঠাৎ জোরে ধমক দেওয়া, মারধোর করা শিশুর মনে স্থায়ী ভয়ের স্মৃতি তৈরি করতে পারে। শিশু হয়ত মনেও করতে পারবে না সে কেন চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু কারণ রয়েছে ঠিক এমনি কিছু।

শিশুকে বলুন ‘সমস্যা নেই, সব ঠিকাছে’
শিশুরা অনেক রকম ভুল করে। দোষারোপ তাকে হীনমন্য করে তুলতে পারে। তাই দোষারোপ না করে তাকে বলুন ‘কোন সমস্যা নেই, সব ঠিক আছে’। পাশাপাশি তাকে সঠিক পথ দেখান। দেখবেন, নিজে নিজেই সে আর ওই একই ভুল করছে না।

প্রতিদিন এমন কিছু করুন যা তাকে রিল্যাক্স করে
সাদিন পড়াশোনা, বাসায় টিউটর এছাড়া আরও অনেক কাজে হয়ত ব্যস্ত থাকে আপনার শিশু। প্রতিদিনের রুটিনে এমন কিছু রাখুন যা তাকে রিল্যাক্স করবে। তাকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যান। খেলতে দিন।

শিশুকে মানুষ করুন, সুপারম্যান নয়
এখনকার অভিভাবকেরা তাদের শিশুকে সার্বিকভাবে যোগ্য করে তুলতে চান। স্কুলে ফার্স্ট হতে হবে, নাচ-গান-অভিনয় জানতে হবে। সব কিছুতে থাকে প্রতিযোগিতা আর প্রথম হবার প্রেশার। আপনার এই আচরণ তাকে সব দিকে যোগ্য করছে না, বরং তার সৃজনশীলতাকে নষ্ট করছে।

সাহসী কাজে প্রশংসা করুন
শিশু কোন কাজ নিজে সাহস নিয়ে করে ফেলল। দেখে আপনি ভয় পেয়ে গেলেন। তার প্রশংসা করার জায়গায় বলতে লাগলেন ‘তোমার কিছু হয় নি তো!’ এতে শিশু মনে করতে পারে তার যোগ্যতা কম এবং সে ওই পরিস্থিতিতে পরের বার সাহসের সাথে কাজ করার পরিবর্তে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তে পারে।

সময়মত ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন
উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্তি পেতে সময়মত ঘুমানো খুব জরুরী। ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে আরাম দেয়, শান্ত রাখে। শিশুকে অবশ্যই সময়মত ঘুমাতে উৎসাহী করুন। টিভি দেখা, পড়াশোনা বা আর কোন কারণেই তাকে রাত জাগিয়ে রাখবেন না।



মন্তব্য চালু নেই