শিশুরা কেন মিথ্যা বলে এবং আপনার করণীয়

বাচ্চারা মোটেও কথা শুনতে চায় না, খেতে চায় না বা পড়তে চায় না। এসব অভিযোগে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তারা যখন মিথ্যা বলতে শুরু করে, তখন বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা জরুরি। মূলত স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর বা যেকোনো সময় থেকে শিশুদের মিথ্যা বলার অভ্যাস গড়ে উঠতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশুদের নিজস্ব কল্পনাশক্তি বিকশিত হয় এবং সে কল্পনায় নিজেদের দেখার চেষ্টা করে। প্রাথমিক অবস্থায় এ কারণেই মিথ্যা বলতে শুরু করে তারা। এ সমস্যা দূর করতে হলে নিচের বিষয়গুলো জেনে নিন।

১. সব শিশুই বিশেষ কারণে মিথ্যা বলে। তবে অন্যান্য কারণেও মিথ্যা বলতে উদ্বুদ্ধ হয় তারা। তবে একেবারে বাচ্চা যারা, তারা হয়তো সত্য বা মিথ্যার পার্থক্য করতে পারে না। এ ধরনের মিথ্যা ক্ষতিকর নয়। তবে সদ্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে এমন শিশুরা মিথ্যা বলছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় ভুল কিছু করে তা ঢাকতেই মিথ্যার আশ্রয় নেয় তারা। আবার অনেকের মাঝে নিজেকে অবহেলিত মনে করলেও মনোযোগ কাড়তে তারা মিথ্যা বলে। এ ক্ষেত্রে ভালোবাসা ও আদর তাদের ভুল ধারণা থেকে বের করে আনতে পারে। আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং নিরাপত্তাহীনতাও তাদের মিথ্যার দিকে নিয়ে যায়।

২. বন্ধুদের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে তারা এমন মিথ্যা গল্প বলার চেষ্টা করে যা অন্যরা শুনে অভিভূত হয়ে পড়ে। এ ধরনের কাজ তার বাবা-মা পেশা বা পারিবারিক জীবনে করে থাকেন। অভিভাবককেই মিথ্যা ও কল্পনার মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করে দিতে হয়। বাচ্চারা কি বলতে চায় তা শুনুন। বাস্তবতা ও কল্পনার মধ্যকার ফারাক দেখিয়ে দিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাবা-মা বাচ্চাদের মিথ্যাকে পাত্তা দেন না এবং বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন।

৩. মিথ্যা বলার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে থাকলে তা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং সত্য বলাটাই তার কাছে অস্বাভাবিক হয়ে পড়বে। সত্য বলার ক্ষেত্রে শিশুদের সব সময় উৎসাহ দিতে হবে এবং প্রয়োজনে পুরস্কৃত করুন। তার কোনো মিথ্যা ধরা পড়লেই একা তাকে নিয়ে বসুন। আদর করে তাকে বোঝান। প্রাথমিক অবস্থাতেই তাকে ধমক দেবেন না। আপনি যা বোঝাবেন তাই বুঝবে শিশু। কারণ, আপনার কাছ থেকেই সবকিছু শেখে শিশু।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া



মন্তব্য চালু নেই