শিশুদের পানিশূন্যতার কারণ জানেন কি?

শিশুদের পানিশূন্যতার একটি গুরুতর এবং মারাত্মক রোগ। এটি তখন হয় যখন, অত্যাধিক পরিমাণ তরল শরীর থেকে হারিয়ে যায় এবং পুনরায় খুব তাড়াতাড়ি সেই ঘাটতির পূরণ হয়ে ওঠে না।

প্রাপ্তবয়স্ক এবং বড়ো বাচ্চাদের তুলনায়, শিশু ও ছোট বাচ্চাদেরই ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হয়। মানবদেহের ৯৬ শতাংশেরও বেশি পরিমান জল, আর এই তরলের মাত্রা উপযুক্ত সুস্বাস্থ্য ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।

শিশুদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের কারণ

হতে পারে তা রোটাভাইরাসের মতো কোন ভাইরাল ইনফেকশন অথবা হতে পারে কলি বা সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দ্বারা বারবার অসুস্থ হয়ে পরা।

যখনই কোন শিশু অসুস্থ হয়ে পরে, তখনই তাদের খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যার ফল হয় তরল না পান করা। অসুস্থতার আনুষঙ্গ হিসাবে ডাইরিয়া ও বমিও থাকে, যা শরীর থেকে প্রয়োজনীয় বডি-ফ্লুইডের অপচয় করিয়ে দেয়।

শরীর থেকে যদি অতিরিক্ত পানি হারিয়ে যায় এবং একই হারে তার পরিপূরণ না হয়, তবে এর পরিনাম হয় ডিহাইড্রেশন। শিশুদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের অন্য কারণগুলোর মধ্যে পরজীবী (parasites) এবং অত্যাধিক তাপও অন্তর্ভূক্ত।

বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে এবং তাদের খাওয়া ও তরল পান করার অভ্যাসের প্রতি ভালোভাবে নজর রাখতে হবে।

শিশুরা যদি চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত কিছুই না খেয়ে বা তরল পান করে না থাকে, তারা ডিহাইড্রেশনের শিকার হয়ে পড়তে পারে। এটা নির্দিষ্টভাবে বিশেষ প্রয়োজন যখন তারা দীর্ঘক্ষণ রৌদ্রে থাকছে বা একই সময়ের জন্য তারা অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে।

প্রতিকার

ডিহাইড্রেশন এড়িয়ে যাওয়ার সব থেকে ভালো উপায় বেশি বেশি পানি পান করা। জুসের সঙ্গে অন্যান্য তরলও, শরীরে তরলের মাত্রা পরিপূরণ করতে সাহায্য করে কিন্তু বিশুদ্ধ, পরিষ্কার পানি পান করাই সব থেকে বেশি কার্যকর।

কোন বাচ্চা বা ছোট শিশু যদি ডিহাইড্রেটেড হয়ে পরে তবে তার তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। ডিহাইড্রেশনে ভোগা শিশুদের চিকিৎসা করতে প্রায়শই, মৌখিক ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার (oral electrolyte powder), পানিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এতে তরল, চিনি ও ক্যামিক্যালস রয়েছে যা তাদের দেহের সামঞ্জস্যতা ফিরিয়ে আনে।



মন্তব্য চালু নেই