শিশুকে দল বেঁধে ধর্ষণের পর মাটিচাপা

বয়স সবে ১০। এর মধ্যেই পৃথিবীর কুৎষিত রূপটি দেখলো মেয়েটি। দল বেঁধে ধর্ষণ করে প্রমাণ লুকাতে তাকে হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা। তবে পার পায়নি তারা। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর আটক হয়েছেন তিন সন্দেহভাজন।

গত রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শিশুটির স্বজনদের অভিযোগে তিন যুবককে আটকের পর একজনের বাড়ির পাশের টিলা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল আহমদ, রাসেল আহমদ ও ছাদেক হোসেনকে আটকের পর এই মামলায় গেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তাদের সবার বয়স ২৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, সকালে মক্তবের ছুটি শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল শিশুটি। পথে বড়খেওড় এলাকার ইমাম উদ্দিনের বাড়ির কাছে গেলে স্থানীয় যুবক আবুল আহমদ, হোসেন আহমদ ও নারাইনপুর গ্রামের মস্তাক আহমদ শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়।

লোকমুখে এ কথা শুনে শিশুটির বড় ভাই ইমাম উদ্দিনের বাড়িতে যান। কিন্তু ওই বাড়ির লোকজন জানান, শিশুটি সহপাঠীদের সঙ্গে অন্য বাড়িতে বেড়াতে গেছে। ফিরে এলেই বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

সারাদিন অপেক্ষার পরও শিশুটি না ফেরায় স্বজনরা গ্রামের লোকজন নিয়ে রাতে আবার ইমাম উদ্দিনের বাড়িতে যায়। তখন ওই বাড়ির লোকজন নানা টালবাহানা শুরু করে।

পরে শিশুটির স্বজনরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মজির উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ইমাম উদ্দিনের বাড়ি যান। এর আগেই তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান বাড়ির সবাই।

এর মধ্যে পুলিশে খবর দেয় শিশুটির স্বজনরা। আর তারা এসে সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে আবুল আহমদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির টিলার ওপর থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, আটক তিনজন শিশুটিকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। পরে মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখে তারা।

এ হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই