শিরোপা থেকে ছিটকে গেলাে রিয়াল!

বার্সেলোনার সঙ্গে ২ পয়েন্টের ব্যবধান সেই অনেক আগে থেকে। কমানোই যাচ্ছিল না। রিয়াল মাদ্রিদের আশায় ভর করে ছিল একমাত্র বার্সা-অ্যাটলেটিকো ম্যাচ নিয়ে। ওই ম্যাচে বার্সা হোঁচট খেলেই রিয়ালের লাভ। কিন্তু উল্টো তার আগে রিয়ালই হোঁচট খেয়ে বসলো। নিজেদের মাঠেই ভ্যালেন্সিয়ার সাথে ২-২ গোলে ড্র করে বসল লজ ব্লাঙ্কোজরা।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে বিতর্কের অনেক জায়গা তিনি নিজেই এই ম্যাচে তৈরী করে দিলেন। শুধু বাজে পারফরম্যান্সই নয়, পেনাল্টি মিস করাটাও যে বড় ধরনের ব্যর্থতা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দলের যখন খুবই প্রয়োজন তার মত ফুটবলারের জ্বলে ওঠা, তখন তিনি বলতে গেলে একেবারে নি®প্রভ। অতি কাংখিত পেনাল্টি পেয়েও ভ্যালেন্সিয়ার জালে বল জড়াতে পারেননি তিনি।

তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের একমাত্র প্রতিপক্ষ ছিল যেন ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষক দিয়েগো আলভেস। এই গোলরক্ষক রিয়াল মাদ্রিদের অন্তত নিশ্চিত ৫টি গোল ফিরিয়ে দিয়েছেন। যখনই যেখান থেকেই বল আসুক, যেভাবেই আসুক- দিয়েগো আলভেস যেন সেখানে থাকবেনই, ঝাঁপিয়ে পড়বেনই।

দুর্ভাগ্যও বর করেছে এদিন রিয়াল মাদ্রিদের ওপর। খেলার প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে হ্যাভিয়ের হার্নান্দেজের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে যায়। খেলার একেবারে শেষ মুহুর্তে একটি বল গোলরক্ষকের হাতে লেগে জালে প্রবেশের আগেই বারে লেগে ফিরে আসে।

অসাধারণ খেলেছেন ম্যানইউ থেকে ধার করে আনা ম্যাক্সিকান স্ট্রাইকার হ্যাভিয়ের হার্নান্দেজ। তিনি যতগুলো চেষ্টা করেছেন, তার সবগুলোই কোন না কোনভাবে রক্ষা করেছেন গোলরক্ষক। না হলে নিশ্চিত হ্যাটট্রিক হয়ে যেতো তার।

খেলার ১৯ মিনিটেই আচমকা এক আক্রমণে রিয়ালের জালে বল জড়িয়ে দেন পাকো অ্যালকাচার। হোসে গিয়ার পাস থেকে পা লাগিয়ে ক্যাসিয়াসকে বোকা বানান তিনি। এর ৭ মিনিট পর আবারও গোল। এবারও গোল খাওয়া দলের নাম রিয়াল মাদ্রিদ। সেট পিস থেকে ভেসে আসা বলে হেড করে গোল করেন জাভি ফুয়েগো।

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে ওঠে রিয়াল। এ অবস্থায় প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে ডি বক্সের মধ্যে গ্যারেথ বেলকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় রিয়াল। শট নিতে আসেন রোনালদো। কিন্তু তার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন দিয়েগো আলভেস।

এই ড্রয়ের পর ৩৬ ম্যাচ থেকে রিয়ালের অর্জন ৮৬ পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে বার্সার অর্জন ৯০ পয়েন্ট। অথ্যাৎ বার্সা থেকে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে গেলো রিয়াল। অ্যাটলেটিকোর মুখোমুখি হবে বার্সা। আর রিয়াল মুখোমুখি হবে এস্পানিওলের। ওই ম্যাচে বার্সা জিতলেই নিশ্চিত চ্যাম্পিয়ন। আর যদি হেরে যায়, তাহলে শেষ ম্যাচে গিয়ে নিষ্পত্তি হবে লিগ শিরোপা। তবে তার আগে এস্পানিওল এবং গেটাফেকে হারাতে হবে রিয়ালকে।



মন্তব্য চালু নেই