শিখে নিন রসমলাই বানানো
আমরা প্রায় সবাই রসমালাই খেতে ভালবাসি। কিন্তু বানাতে ক’জন পারি? এক্ষুণিতো ভুলে যাবেন। তাই শেয়ার করে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে সেভ করে রাখুন।
উপকরণ:ডিম- ১টি,বেকিং পাউডার – ১ চা চামচ,গুড়ো দুধ- ১ কাপ,ময়দা – ১ চা চামচ,তরল দুধ – ১ লিটার,চিনি – স্বাদমত , গুড়ো করা – ১ টি এলাচ,ভ্যানিলা এসেন্স – ১/২ চা চামচ (গোলাপজলও দিতে পারেন),পেস্তা বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালী: তলা ভারী এমন বড় একটি পাত্রে চিনি আর তরল দুধ মিশিয়ে ফুটাতে দিন, এলাচদানা গুড়োও দিয়ে দিন। আঁচ খুব কম রাখুন।এবার আরেকটি পাত্রে গুড়ো দুধ, ময়দা, বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন, ডিমটি ফেটিয়ে এই মিশ্রনে মেশান। ভ্যানিলা অথবা গোলাপজল দিয়ে দিন। সব একসাথে সুন্দর করে মেশান, খুব বেশি মাখবেন না সব মিশে গেলেই হলো। প্রথমে মিশ্রনটি হাতের সাথে আটকে আটকে যাবে আঠালো হয়ে কিনতু ৩/৪ মিনিট রেখে দিলেই দেখবেন সুন্দর টাইট হয়ে গেছে , হাতের সাথে আর আটকাচ্ছে না। এখান থেকে এবার ছোট ছোট বল বানান। বেশি বড় বানাবেন না, মার্বেলের মতো বড় বানালেই দেখবেন দুধে দেবার পর বলগুলো ফুলে দ্বিগুন হয়ে যাচ্ছে তাই ছোট বল বানান।এতোক্ষনে উনানে দুধ ফুটে গিয়েছে, এই বল গুলো সাবধানে ফুটন্ত দুধের মাঝে ছেড়ে দিন। চামচ বা কিছু দিয়ে নাড়বেন না, ফুটতে দিন আরো কয়েক মিনিট। দেখবেন বলগুলো ফুলে উঠেছে। আঁচ আরো কমিয়ে দিন এখন, সর্বনিন্ম আঁচে রাখুন।
দশ মিনিট এভাবে কম আঁচে রান্না করুন, মাঝে মাঝে পাত্রটি সাবধানে ধরে ঝাঁকিয়ে দিন, যাতে তলায় ধরে না যায়।দশ মিনিট পরে একটি মিষ্টি তুলে দেখুন ভিতরে সেদ্ধ হয়েছে কিনা। বেশি কাঁচা থাকলে কম আঁচে আরো কিছুক্ষন রান্না করুন, যদি সামান্য একটু কাঁচাভাব থাকে তাহলে আগুন নিভিয়ে পাত্র ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন, ভেতরের তাপেই আরো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে। মালাই আরেকটু ঘন করতে চাইলে আরো কিছুক্ষন কম আঁচে আগুনে রাখতে পারেন, শুধু মাঝে মাঝে পাত্রটি একটু ঝাকিয়ে দিন যাতে তলায় ধরে না যায়। ঠান্ডা করে রসমালাই পরিবেশন করুন, পরিবেশনের আগে পেস্তা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন মিষ্টির ওপরে।
এক্ষুণিতো ভুলে যাবেন। তাই শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে সেভ করে রাখুন।
মন্তব্য চালু নেই