শিক্ষার্থীর প্যান্ট খুলে নিল আ’লীগ নেতা-সাংবাদিক!
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে রংপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কর্মসূচিতে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের এক ব্যবসায়ী নেতা ও সাংবাদিকসহ তার সহযোগীরা।এ ঘটনায় এক ছাত্রীসহ দুজন আহত হয়েছেন। এছাড়া এক শিক্ষার্থীর প্যান্ট খুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীরা জানান,প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে তারা পুনরায় মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার জন্য আন্দোলন করে আসছেন। তারই ধরাবাহিকতায় বুধবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন।
আন্দোলনকারীরা সড়কে কোনো বাধা সৃষ্টি না করে মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও ব্যবসায়ী নেতা রেজাউল ইসলাম মিলন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক শাহাজাদা মিয়া আজাদ ও ফারহান বুক ডিপোর মালিক আতিক আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ওপর হামলা চালায়। প্রেসক্লাবের অন্য সাংবাদিকরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
এক পর্যায়ে হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং এক শিক্ষার্থীর প্যান্ট খুলে নেয়। এ সময় এক ছাত্রীসহ দুই শিক্ষার্থী আহত হন।
পুলিশ হামলাকারীদের কাছ থেকে এক শিক্ষার্থীকে আটক করার চেষ্টা করলে প্রেসক্লাব এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এ ঘটনার পর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা হামলাকারী সাংবাদিকসহ অন্যদের বিচার দাবি করে বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ওই সাংবাদিক হামলা চালিয়ে এই মহান পেশাকে কলুষিত করেছে।
তারা বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে তার প্রমাণ রংপুর র্যাব-১৩ মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রংপুর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার বাকি চারজন মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক।
গ্রেফতারকৃতরা র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা স্বীকার করে বলেছে, বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে তারা ওই প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষার্থী মোখলেছুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মাসুম, হিমাংশু, মোহনা, চৈতি, তন্বী প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই