সংবাদ সম্মেলনে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি

শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও আটক বাণিজ্যের সঙ্গে পুলিশের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও আটক বাণিজ্যের সঙ্গে পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা জড়িত আছেন। তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য আমরা ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই।’ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা এসব কথা বলেন।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
মিজানুর রহমান রানা বলেন, ‘স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পুলিশ প্রশাসনকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অধীনে রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে তৎপর আছে। এই জঙ্গিগোষ্ঠী ককটেল হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে চায়। এই জঙ্গিগোষ্ঠী দমনে রাবি ছাত্রলীগ প্রশাসনের পাশে থাকবে।’ এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়া প্রয়োজন। শীঘ্রই আমরা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাবো।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব বলেন, ‘জঙ্গীগোষ্ঠীর ডাকা অনৈতিক অবরোধ-হরতালের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা ২০ দিন বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের সেশনজটের কথা চিন্তা করে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা চালুর জন্য মানববন্ধন করি ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দেই। তারই ফলস্বরুপ আজ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে।’ এজন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন, মেহেদী হাসান, আতিকুর রহমান সুমন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই