শিক্ষাভবনের নারী কর্মকর্তাদের চুলাচুলি

শিক্ষাভবনে কর্মরত দুই নারী কর্মকর্তার চুলাচুলি ও গালিগালাজের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় ঘটনা ঘটে। একে অপরের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করেছেন। দুই নারীই বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষক। তদবির করে তারা নিজেদের যোগ্যতার চেয়ে ঢের বড় পদ পদায়ন বাগিয়েছন।

মন্ত্রী-সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সামনেই এমন ঘটনা টক অব দ্য শিক্ষাভবনে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে ঝড় উঠেছে নিন্দার। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হাসিঠাট্টা করছেন।

জানা গেছে, শোভাযাত্রার চলাকালে এক নারী কর্মকর্তার পায়ে আরেক নারী কমকর্তার পা পড়ে। এ নিয়ে দু’জন বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁরা একে অন্যের চুল ধরে টানাটানি ও গালিগালাজ করেন। খামচিও মারেন বলে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। তাঁদের একজন শারিরীক শিক্ষা ও আরেক জন কলেজ শাখায় কর্মরত।

একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে বলছেন যে ‘আমি ওকে মন্ত্রণালয় চিনিয়েছি, আর আজ ও আমাকে ল্যাং মেরে মন্ত্রণালয়ে দিনভর ঘুরছে আর আখের গোছাচ্ছে।’

দুইজনের একজন বিএনপি জমানায় খালেদা জিয়ার পিএস মোসাদ্দেক আলী ফালুর বান্ধবী পরিচয় দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দাপটের সঙ্গে চাকরি করেছেন। আবার বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষা ভবনের রয়েছেন। মন্ত্রীর সাবেক এপিএসকে ভবনের যাবতীয় খবরাখবর আদান প্রদান করেন তিনি। স্বামীকে পিটিয়ে কয়েকমাস নায়েমের হোস্টেল ভাড়া করে থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

গতকালের এ ঘটনা আজও শিক্ষা ভবনের কর্মকর্তাদের মুখে মুখে। সামান্য পায়ে পাড়া নিয়ে দু’জন কর্মকর্তার এমন কান্ডে নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকেই।

সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে বিশাল শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।



মন্তব্য চালু নেই