ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ :
শিক্ষকের মাথার চুল কেটে, গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে বাজার ঘুরালো ক্ষুব্ধ জনতা
ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে উত্তম শিক্ষা দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয়ের ছাত্ররা।
বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে দারিয়াপুর বাজারে ওই শিক্ষকের চুল কেটে জুতার মালা গলায় ঝুলিয়েছে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চ্যাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভকেশনাল শাখার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের টয়লেটের কাছে শ্লীলতাহানী করেন শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক। বিষয়টি কয়েকজন ছাত্রের নজরে আসলে পালিয়ে যান তিনি।
ওই দিনই ছাত্রীর মা প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে প্রতিকার দাবি করেন। শ্লীলতাহানীর ঘটনা জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
বুধবার সকালে আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন ও ছাত্ররা মিলে তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে দারিয়াপুর বাজারের মধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে কাঁচি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে বাজার ঘুরিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় তাকে জড়িয়ে ধরে জনরোষ থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন তার স্ত্রী। স্বামীকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। বর্তমানে আব্দুর রাজ্জাক পলাতক রয়েছেন।
এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুন কুমার মণ্ডল ও মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আব্দুস সালেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিয়ামত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা হবে। কিন্তু তার আগেই এ ঘটনায় হতবাক শিক্ষকবৃন্দ। বিদ্যালয়ের এই সম্মানহানীকর ঘটনায় তিনি কী করবেন তা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আব্দুস সালেক জানান, ছাত্রী কিংবা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই