শিক্ষকের ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন মা-মেয়ে
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার গাওখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক শংকর কুমার গোলদারের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ওই ছাত্রীর মা। এরপর প্রভাবশালী শিক্ষকের হুমকিতে মেয়েকে নিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
শনিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই ছাত্রী শনিবারের ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের হুকমির মুখে শুক্রবার মেয়েকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন মা।
এ বিষয়ে ছাত্রী ও তার মা জানান, গত ১১ জুলাই সকালে শিক্ষক শংকর কুমার লোক পাঠিয়ে ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নেন। এসময় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন মা। কিন্তু ওই শিক্ষক ভয়ভীতি দেখান। পরে এলাকা ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে চলে যান তিনি। এ কারণে মেয়েটি বিদ্যালয়ে চলমান অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, শংকর মাদকাসক্ত। প্রাইভেট না পড়লে তার বিষয়ে ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের বাধ্য করেন। তার ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক শংকর কুমার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বার বার ক্ষমতাসীনদের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি, একদিন সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাফর বাহাদুরের সঙ্গে কথা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত তিন মাস আগেও নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ এসেছে। কিন্তু কি জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অনিল চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, ওই শিক্ষককে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই