শিকারের প্রাচীন যত উদ্ভট পদ্ধতি
শিকার শব্দটা মানুষের সাথে জুড়ে আছে সেই সভ্যতার আগ থেকেই। জীবনের তাগিদে যে উপায়গুলোকে বেছে নিয়েছিল মানুষ সেগুলোর ভেতরে সবথেকে প্রাচীন আর আদিমতম হচ্ছে শিকার করা। পশু-পাখির শিকার এবং সেগুলোর মাংস খেয়ে জীবন যাপন করার এই বহু পুরোন পদ্ধতিকে আমরা সবাই জানলেও অনেকে এটা জানিনা যে প্রচীনকালে মানুষ কত অদ্ভূত উপায়ে শিকার করত। জানতে চান সেগুলোকে? চলুন দেখে নিই এক নজর।
১. ধীর গতির শিকার
ধীর গতির শিকার বা পারসিসটেন্ট হান্টিংয়ের প্রধান মন্ত্র হল শিকারের সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুত না দৌড়ে খানিকটা দৌড়ে, খানিকটা হেঁটে, খানিকটা গুড়ি মেরে শিকারের চারপাশে ঘোরাফেরা করা। এতে করে শিকার একটা সময় অতিরিক্ত ছোটাছুটিতে ক্লান্ত হয়ে পড়বে এবং ধরা দেবে। আর অন্যান্য পশুদের চাইতে মানুষ এই শিকার পদ্ধতিতে বেশি খাপ খাওয়াতে পারে কারণ মানুষের শরীরে অতিরিক্ত পশম নেই। ফলে খুব দ্রুত শরীরের ঘাম শুকিয়ে যায় মানুষের। কিন্তু এই একই কাজ শিকারকে ক্লান্ত করে ফেলে আর শিকারের চাইতে কম দ্রুতগতিসম্পন্ন হয়েও মানুষ শেষ পর্যন্ত জিতে যায়।
২. আগুনের ব্যবহার
হাজার বছর আগের এই শিকার পদ্ধতি এখনো অনুসরণ করে অনেকে। এ পদ্ধতিতে মাটির নীচে গর্তে বাস করা খরগোশ, সরীসৃপ ইত্যাদিকে শিকার করতে একটি নির্দিস্ট স্থানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যদি উক্ত স্থনে ঝোঁপ থেকে থাকে তাহলেতো আর কোন কথাই নেই, আর যদি নাও থাকে তাহলে মাটিতে থাকা গর্তগুলোর ভেতরে শুকনো পাতা, লাঠি আর খড় ঢুকিয়ে সেটাতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই আগুন গর্তের ভেতরে ধোঁয়া সৃষ্টি করে। ফলে একটা সময় গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় শিকার।
৩. আঠা পদ্ধতি
এই পদ্ধতিটি বর্তমানে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে পোচারে। পোচার হচ্ছে পশু-পাখীদেরকে অন্যায়ভাবে ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মেরে ফেলা। আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পোচারকারীরা। তবে কেবল এরাই নয়, অতীতে খাবার সংগ্রহের জন্যে, বিশেষ করে পাখীদেরকে শিকার করতে এই আঠা পদ্ধতি ব্যবহার করতো শিকারীরা। গাছ বা লাঠির মাথায় আঠা লাগিয়ে রাখতো তারা। দরকার মতন খানিকটা বিষও লাগানো হত তাতে। ফলে পাখি সেই ডাল বা গাছে বসলেই আঠায় জড়িয়ে যেত। আর একবার আঠা থেকে নিজেকে ছাড়ানোর জন্যে মুখের ব্যবহার করলেই মরতে হত তাদের।
মন্তব্য চালু নেই