শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্যারিসে আলোচনা সভা
ফ্রান্স সংবাদ দাতা ঃ আগামী ৩০ মে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ফ্রান্স শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার প্যারিসে-রুই দ্যু লা ম্যাক্স দর্মির এক অভিযাত রেস্টুরেন্টে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা থেকে শরু করে পরবর্তীতে দেশ গঠনে তার বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করার মাধ্যমে ফ্রান্স বিএনপিকে আরো শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করার আহবান জানান। এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, ফ্রান্স বিএনপির কিছুসংখ্যক বিপথগামী নের্তৃবৃন্দের কারণে সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ, সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখা দিয়েছে। এরা বিএনপি, ফ্রান্স শাখার কিছু গুরত্বপূর্ণ পদ দখল করে রাখলেও শত চেষ্টা করে তাদেরকে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত করানো যায় না। এদের কেউ-কেউ ফ্রান্সের বাইরে থেকে ফ্রান্সে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের কুমন্ত্রণা দিয়ে-বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ঐক্যের মধ্যে ফাঁটল ধরানোর চেষ্টা করছে। নের্তৃবৃন্দের অনুমতি ছাড়াই অনৈতিকভাবে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে দলকে ভাঙনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যা ঘোঁড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার সামিল। ফ্রান্স বিএনপির অঙ্গসংগঠন নামে গজিয়ে ওঠা কিছু অনুমোদনহীন ভুঁইফোঁড় সংগঠনের বাড়াবাড়িও কম নয়। ফ্রান্স বিএনপির নের্তৃবৃন্দ যখন প্রবাসে বসে আওয়ামী স্বৈরাচার শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে অন্যায়-অত্যাচারের চিত্র বিশ্ব নের্তৃবৃন্দের কাছে উপস্থাপন করছে।ঠিক সেসময়ে কিছু অশুভশক্তি পেছন থকে কলকাঠি নেড়ে দলকে দ্বিধাবিভক্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে দেশে-বিদেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতির প্রবর্তক জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দলের চেইন অব কমান্ড। বিষয়টি সমাধানে ফ্রান্স বিএনপির পক্ষ থেকে-বিএনপির কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করে শৃঙ্খলা ভঙ্গকারিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সাধারণ সম্পাদক এম-এ তাহেরর পরিচানায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফ্রান্স বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাইফুর রহমান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি সিরাজুর রহমান, সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন খান, অর্থসম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ওমর গাজী, ইলিয়াস মুক্তি পরিষদের আহবায়ক মফিজ আলী, শফিক রেহমান মুক্তি পরিষদের আহবায়ক নারী নেত্রী শামীম আরা রুবী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, শফিকুল ইসলাম স্বপন, বকুল হোসেন, ইকবাল খান, বাবু, আরিফ, পলাশ, রনি, মঞ্জুর, শিমুল, হানিফ, করিম মাস্টার, এখলাস উদ্দিন, এরশাদ হোসেন, মহিউদ্দিন, খালেদ হোসেন ও বাবলু।
মন্তব্য চালু নেই