শরীয়তপুরে ভ্রাম্ম্যমান আদালতের টাকা আত্মসাতকারী ইমাম কারাগারে
শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ ভ্রাম্ম্যমান আদালত পরিচালনা কালে আদায়কৃত ১ কোটি ৮০ হাজার টাকা আত্মসাতের দুটি মামলায় অভিযুক্ত শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বেঞ্চ সহকারী ইমাম উদ্দীনের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুররের সিনিয়র স্পেসাল জজ আদালত বিচারাধীন একটি মামলার বিচারক আতাউর রহমান এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মনিরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
ইমাম উদ্দিন (৩৫) সদর উপজেলার কাশাভোগ গ্রামের মৃত আ. হাই তালুকদারের ছেলে।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভ্রাম্ম্যমান আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইমাম উদ্দীন ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মে ২০১৬ পর্যন্ত উক্ত পদে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ের মধ্যে পরিচালিত ৮৫৪টি ভ্রাম্ম্যমান আদালতের ৩ হাজার ৫৯৫টি মামলার জরিমানা হিসেবে ১ কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার ৫৫০ টাকা আদায় হয়। যা চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক, শরীয়তপুর শাখায় জমা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন ইমাম উদ্দীন। কিন্তু তিনি পুরো টাকা জমা না দিয়ে সোনালী ব্যাংক শরীয়তপুর শাখার নামে ৭৫৪টি ভুয়া ও জাল চালান তৈরি করে এক কোটি ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। তার স্ত্রী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কমলা আক্তার এ কাজে তাকে সহায়তা করেন।
এ ঘটনায় ইমাম উদ্দীন ও তার স্ত্রী কমলা আক্তারকে আসামি করে গত ১৮ জুন সহকারী কমিশনার জিনিয়া জিন্নাত ও ১৯ জুন অফিস সহকারী নাজমুল হাসান বাদি হয়ে পালং থানায় ২টি মামলা দায়ের করেন। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে ইমাম উদ্দীন পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গতবছর ১৯ জুন কমলাকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন।বর্তমানে ইমাম উদ্দীনের স্ত্রী কমলা আক্তার জামিনে রয়েছেন।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২১ মার্চ মঙ্গলবার ইমাম উদ্দীন সিনিয়র স্পেসাল জজ আদালত ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্বসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নাকচ করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
মন্তব্য চালু নেই