শরীয়তপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সামান্তসার ইউনিয়নের চর সামান্ত সার গ্রামে আয়না বেগম (১৯) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত আয়না বেগম সামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্রী।
বুধবার রাতে চর সামান্তসার গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুড়ি জীবননেসাকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার চর শিধলকুড়া গ্রামের আয়নাল ফকিরের মেয়ে আয়না বেগমের সঙ্গে গোসাইরহাট উপজেলার চর সামান্তসার গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন মাদবরের ছেলে জসিম মাদবরের দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্বামী জসিম মাদবর ও শাশুড়ি জীবননেছা বেগম আয়নার উপর শারীরিক ও মানুসিক অত্যাচার করতো।
এরই জের ধরে বুধবার রাতে আয়নাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের চালের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে আয়না আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য নিহত আয়না বেগমের মরাদেহ ঘুম করার জন্য আগেই থেকে বাঁশকেটে প্রস্তুত নেয়া হয়েছিল,কিন্তু চারদিকের মানুষ হৈ চৈ পরায় ম্বামী জসিম পালিয়ে যায় ।
নিহত আয়না বেগমের ভাই মো. আরিফ হোসেন জানান, আমার বোনকে প্্রায় সময় যৌতুকের জন্য ওর স্বামী, শাশুরী,ননদ বিভিন্ন সময় কটুক্তি করত কেমন ফকিন্নির মেয়ে আনছোছ কিছুই দিতে পারে না এবং বিভিন্ন সময় মারধর করত। আমার বোন যৌতুক আনতে অস্বীকার করলে তার উপর মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতনের চাপ আরও বেড়ে যেত । কিছু দিন আগে স্বামী জসিম মাতবরের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার বাবার কাছ থেকে টাকা এনে স্বামী জসিমকে অটোরিক্স কিনে দেয় । তার পরও ওরা আমার বোনটিকে বাঁচতে দিলনা ।
সাবেক মেম্বার ও স্থানীয় মুরুব্বি আলহাজ্ব সুজাত আলী মোল্লা বলেন, বউটা খুব ভাল ছিল, ও আমার বাড়ীর সামনে দিয়ে প্রতিদিন কলেজে যেত আসত। এভাবে মেয়েটাকে ওদের মারা ঠিক হয় নাই।
গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জল হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আয়নার শাশুড়ি জীবননেছাকে থানায় আনা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই