শতাধিক অস্ত্রোপচারে পর ‘বায়োনিক’ পুরুষাঙ্গ উত্থানের সাফল্য
যুক্তরাজ্যে বিরল রোগ ‘ ইক্টোপিয়া ভেসিকল'(শরীরে বাইরে মূত্রথলি) নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অ্যান্ডু ওয়ার্ডল নামের এক ব্যক্তি।
এরপর তাকে বাঁচিয়ে রাখতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার শরীরের বাইরে একটি মূত্রথলি তৈরি করে দেয়া হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের কারণে তার পুরুষাঙ্গ আর বেড়ে উঠতে পারেনি।
ফলে জীবনের ৪০টি বছরই যৌন অভিজ্ঞতার বাইরে থাকেন তিনি।
এমনকি চার বছর ধরে প্রেম করলেও প্রেমিকা ফেদরা ফাবিয়ানের সঙ্গে মিলিত হতে পারেননি ওয়ার্ডল।
অবশেষে তার চার দশকের সীমাবদ্ধতা দূর হয়েছে। শতাধিক অস্ত্রোপচারের পর কৃত্রিমভাবে তৈরি ‘বায়োনিক’ পুরুষাঙ্গের অধিকারী হয়েছেন তিনি।
এই পুরুষাঙ্গের মাধ্যমে খুব শিগগির যৌন মিলনও করতে পারবেন তিনি।
ভ্রমণ এবং লাইফস্টাইল বিষয়ক মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল টিএলসিতে ‘পুরুষাঙ্গবিহীন একজন মানুষ’ শীর্ষক এক ডকুমেন্টারিতে ওয়ার্ডলের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মূত্রথলি অস্ত্রোপচারের কারণে পুরুষাঙ্গ প্রাকৃতিকভাবে আর ওয়ার্ডলের পুরুষাঙ্গ তৈরি হয়নি। শারীরিক এই ত্রুটি নিয়েই সারা জীবন বাঁচতে হবে বলেও তিনি মেনে নেন।
তবে ২০১২ সালে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়। যা ব্যবহার করে উপকৃত হন মোহাম্মদ আবাদ নামে আরেকজন বৃটিশ, তিনি শৈশবে দুর্ঘটনার কারণে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছিলেন।
চিকিৎকরা আবাদের বাহু থেকে অন্য স্থানের চামড়া, পেশী এবং শিরা সংযোজন করে একটি বায়োনিক পুরুষাঙ্গ তৈরি করেন। এটি একটি বেলুনের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে। যাতে অণ্ডকোষের পরিবর্তে একটি ছোট কোষ থেকে তরল পদার্থ ভর্তি সঞ্চালিত হলে পুরুষাঙ্গ উত্থিত (ইরেকশন) হয়।
আবাদের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিতেই ওয়ার্ডলকে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরি করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এই পদ্ধতিটি পুরোপুরি সম্পন্ন হতে আরও কিছু দিন হাসপাতালে কাটাতে হবে তাকে।
প্রেমিকা ফেদরা বলেছেন, ওয়ার্ডলের সঙ্গে প্রেম হওয়ার পর তিনি নয় মাস ডেটিং (মেলামেশা) করেন। পরে সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ না থাকার কথা জানতে পারেন।
এমনটি জানার পর কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা বুঝতে পারছিলেন না বলে জানান ফেদরা। তবে এখন সবকিছু জেনেবুঝে ওয়ার্ডলের সমস্যাটিকে মেনে নিয়েছেন এবং তার কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরির চেষ্টাকে পুরোপুরি সমর্থন করছেন।
মন্তব্য চালু নেই