শঙ্কার মধ্যেই দেশের ৭২৫ ইউপিতে ভোট কাল
আগামীকাল শনিবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ৭২৫টি ইউপিতে সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় প্রার্থীদের প্রচার শেষ হয়েছে।
ইউপি নির্বাচনের গত তিন ধাপে ব্যাপক সহিংসতায় শিশুসহ প্রায় ৪০ জনের মতো প্রাণ হারায়। আহত হয় সহস্রাধিক। এ ছাড়া ব্যাপক অনিয়ম ও ভোট কারচুপি ঘটে।
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের প্রচারণার সময়ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং সহিংসতায় বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তাই কাল ভোটের দিন সহিংসতার আশঙ্কা থাকছেই।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চতুর্থ ধাপের এ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের ৩৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী নেই ১০৬ ইউপিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। এছাড়া ৭২৪ ইউপিতে নৌকার প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া ৬৯১ ইউপিতে নৌকার প্রার্থী রয়েছে, বিএনপির প্রার্থী আছে ৬১৯ ইউপিতে, জাতীয় পাটির ১৫৬, জাসদের ৪২, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১৫৪ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৩,২৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে।
তবে প্রথম তিন ধাপের মতো চতুর্থ ধাপেও সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে নানা অভিযোগ পাঠিয়েছেন প্রার্থীরা। কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, সহিংসতা ও ভোট কারচুপি ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানা যায়, নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নামছে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনী অনিয়মে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে থাকবেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি। নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদের জন্য প্রায় ৫ কোটি ব্যালট পেপারসহ মালামাল জেলা নির্বাচন অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে করে নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা না হয়। তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছে।’
ইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচল সীমিত করতে। নির্বাচনী আইনানুযায়ী কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করতে এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা আয়োজন করতে পারবে না।
ইসির ঘোষণা অনুযায়ী ২৮মে পঞ্চম ধাপে ও ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই