বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ
লড়াইয়ে পিছু হটেনি বাংলাদেশ
চা বিরতির সময় বলা যাচ্ছে কথাটা। লড়াইয়ে পিছু হটেনি তারা। ভালো জবাব দিয়েছে পাকিস্তানকে। লাঞ্চ থেকে চা বিরতি পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ১২৬ রান। খুলনা টেস্টে যেকোনো সেশনে যা সর্বোচ্চ রান। আর এটা সম্ভব হয়েছে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ দল চা বিরতিতে গেছে ১৪২ রান নিয়ে। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের লিড ২৯৬ রানের। এখনো ১৫৪ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরিটা তামিম ইকবালের। এদিন ৬৩ বলে ৫০ রান করে ফেললেন। তারপর যেভাবে এগিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছিলো দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নতুন করে লিখবেন কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের নিজস্ব একটা আবেদন আছে। আছে দাবি। সেই দাবিতে ভালো বল হলে নিজেকে ক্রিজে আটকে রেখেছেন তামিম। চা বিরতিতে যাওয়ার সময় তাই তার নামের পাশে ৯৮ বলে ৮৫ রান। সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছেন তামিম। ৯টি বাউন্ডারির সাথে ৩টি ছক্কা মেরেছেন তামিম। আর ইমরুল টানা দুই ইনিংসে ফিফটি করলেন। তিনি অপরাজিত ৫৬ রানে। যে ইনিংসটি ৮৯ বলের। ৭টি চারের সাথে আছে একটি ছক্কা।
চতুর্থ দিনের শুরুতে বাংলাদেশের গলার কাঁটার মতো হয়ে বিঁধে ছিল সরফরাজ আহমেদ ও আসাদ শফিকের জুটি। এই জুটি দ্রুত এগিয়েছে। পাকিস্তানের রানকে তুলে দিয়েছে আরো উচ্চতায়। ৫ উইকেটে ৫৩৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। সরফরাজ ও শফিক সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের জুটিটাকে ভাঙতে পেরেছেন মোহাম্মদ শহীদ। ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তিনি বানিয়েছেন সরফরাজকে। ৮৮ বলে ৮২ রান করে ফিরেছেন সরফরাজ। পরের ওভারেই ওয়াহাব রিয়াজকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাইজুল। শেষ ৫ উইকেট পাকিস্তান হারিয়েছে ৩৪ রানে। বাংলাদেশের বোলাররা চাপ বাড়িয়েই একের পর এক উইকেট তুলে নিয়েছেন।
শফিক তার ক্যারিয়ারে আরেকটি সেঞ্চুরি যোগ করার মতোই ব্যাট করছিলেন। কিন্তু চাপের মুখে তিনি ধরে রাখতে পারেননি নিজেকে। এই ম্যাচে শফিককে নিজের প্রথম শিকার বানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৮৩ রান করেছেন শফিক। শেষের দিকে পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডার প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। পরপর দুই ওভারে তাইজুল তুলে নেন ইয়াসির শাহ ও জুলফিকার বাবরকে। ৪৬.৪ ওভার বল করে ১৬৩ রানে তাইজুল নিয়েছেন ৬ উইকেট। ৩৭ ওভারে ১৪৬ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব। ৩৪ ওভারে ১২০ রান দিয়ে ২ উইকেট শুভাগত হোমের। ১৯ ওভারে ৫৯ রানে ১ উইকেট শহীদের।
মন্তব্য চালু নেই