সিলেট সিটি করপোরেশন
লোদীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মানেন না কাউন্সিলররা
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বরখাস্ত করে প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু শহীদ মিনারে হামলা ও হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি প্যানেল মেয়র-১ লোদীকে মেয়র হিসেবে কোনোভাবেই মেনে নিতে রাজি নন কাউন্সিলররা।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশন হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এমন কথাই জানিয়েছেন তারা।
কাউন্সিলররা বলছেন, কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে আমরা ৩৩ কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি। এছাড়া তিনি শহীদ মিনার ভাঙচুর ও হত্যা মামলার আসামি। সুতরাং তাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে মেনে নেয়ার প্রশ্নই আসে না।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজোয়ান আহমদ, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান।
এসময় সিটি করপোরেশনের ১৪ কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা বিশ্ব ইজতেমা ও ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপস্থিত কাউন্সিলরা। বক্তব্যকালে কাউন্সিলররা কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন। একই সাথে তাকে মেয়রের দায়িত্ব না নেয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমানে কারান্তরীণ রয়েছেন। তাকে বরখাস্ত করে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সরোজ কুমার নাথ স্বাক্ষরিত আদেশ কপি সিলেট সিটি করপোরেশনে পৌঁছায়। আদেশে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ও প্যানেল মেয়র-১ কে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বলা হয়।
গত ২১ ডিসেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অভিযুক্ত করে হবিগঞ্জে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেন সিআইডির সিনিয়র এসএপি মেহরুন্নেছা পারুল। ৩০ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই