লুইসের সেঞ্চুরিতে বরিশালের দুর্দান্ত জয়
বিপিএলের তৃতীয় আসরে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন এভিন লুইস। তার ৬৪ বলে করা সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বরিশাল বুলস।
ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। পাঁচ ম্যাচে বরিশালের এটা চতুর্থ জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে তারা। সমান ম্যাচে ঢাকার এটা তৃতীয় হার, ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে তালিকার চতুর্থ স্থানে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান করে ঢাকা। জবাবে লুইসের ব্যাটিং তাণ্ডবে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে আট বল হাতে বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। মাত্র ৬৫ বলে ছয়টি ছক্কা আর সাতটি চারে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন লুইস।
১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার এভিন লুইস ও রনি তালুকদার। ৬.২ ওভারেই দলীয় ফিফটি পূরণ করেন দুজন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে লুইস নিজেও ফিফটি তুলে নেন। নাবিল সামাদের বলে লং অফের ওপর দিয়ে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান।
পরের ওভারে তো জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঝড় তোলেন লুইস। রায়ান টেন ডেসকাটের করা এক ওভারে তিন ছক্কা আর দুই চারের সাহায্যে তোলেন ২৭ রান। প্রথম বলে ডিপ মিড উইকেট আর দ্বিতীয় বলে লং অফের ওপর দিয়ে বল আছড়ে ফেলেন গ্যালারিতে। তৃতীয় বলে চার মারার পর পঞ্চম বলে হাঁকান আরেকটি বিশাল ছক্কা। পরের বলটি ডেসকাট ওয়াইড দিলে আসে এক রান। শেষ বলে ব্যাটে লাগাতে পারেননি লুইস।
এরপর রনি ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে ফিরলে ভাঙে ১২৭ রানের বিশাল জুটি। আবুল হাসান রাজুর বলে লাহিরু থিরিমান্নেকে ক্যাচ দেন রনি। তার ৩৪ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছক্কার মার। রনি ফিরলেও ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে দারুণ এক জয় উপহার দেন লুইস।
এর আগে কুমার সাঙ্গাকারার ফিফটি আর রায়ান টেন ডেসকাটের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৫৮ রানের লড়াইয়ের পুঁজি পায় ঢাকা ডায়নামাইটস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন সাঙ্গাকারা। ৩২ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের লড়াকু সংগ্রহে অবদান রাখেন ডেসকাট।
টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বরিশাল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট করতে নেমে কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সৈকত আলী। কেভন কুপারের বলে সৈকত (১৫) রনি তালুকদারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে এ জুটি।
এরপর দলীয় ৪৮ রানে লাহিরু থিরিমান্নের মাহমুদউল্লাহর বল ডাউন দ্য ট্রাকে এসে মারতে গিয়ে রনির হাতে স্টাম্পড হন। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। নতুন ব্যাটসম্যান নাসির হোসেন এক চার মেরেই মাহমুদউল্লাহর বলে সিকুগে প্রসন্নকে ক্যাচ দেন। নাসিরের পর আবুল হাসানও বেশিক্ষণ টেকেননি। ব্যক্তিগত ৮ রান করেই প্রসন্নর বলে রনির হাতে স্টাম্পড হন তিনি।
৭৩ রানে চার উইকেট হারালেও পঞ্চম উইকেটে রায়ান টেন ডেসকাটের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়েন এক প্রান্ত আগলে রাখা সাঙ্গাকারা। ইনিংসের ১৮তম ওভারে কুপারের বলে আউট হওয়ার আগে সাঙ্গাকারার ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান। তার ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল সাতটি চারের মার।
আর ডেসকাটের ৩২ বলে ৩ ছক্কা ও এক চারে করা ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে দেড়শ পার করে ঢাকা। ১০ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যালকম ওয়ালার।
মন্তব্য চালু নেই