লাল-সবুজে বিজয় সাজ
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালির বিজয় যাত্রা শুর হয়েছিল ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরে। দিনটি তাই প্রতিটি বাঙালি হৃদয়ে বিশেষভাবে জাগ্রত। উৎসব প্রিয় এ জাতি বিজয়ের আনন্দে সাজবে, এটাই স্বাভাবিক।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আসতেই সবার মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা তোড়জোড়। অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে দিবসভিত্তিক সাজ-পোশাকের ব্যাপারটা আমাদের সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছে অনেক আগে থেকে। এবারও বিজয় দিবসে ফ্যাশন সচেতন মানুষের আয়োজনের কমতি নেই। মানুষের অঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে আমাদের জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ আবহ।
যেকোনো উৎসব মূলত তারুণ্য নির্ভর। বিজয় দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা আর সবার চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের নামকরা ফ্যাশন হাউজগুলো সেজেছে আপন উদ্যোগে। আপনার ইচ্ছার পূর্ণতা মেলাতে সে আয়োজনের জুড়ি নেই। তাদের নান্দনিক সৃষ্টিকর্মে আপনার ইচ্ছা পেতে পারে নতুন মাত্রা। বেছে নিতে পারেন পছন্দের পোশাক আর অনুষঙ্গ।
বিজয় দিবসের সকালে পরনের সব কিছুতেই থাকতে পারে লাল-সবুজের ছোঁয়া। মেয়েরা পরতে পারেন লাল-সবুজ শাড়ি। লাল পাড়ওয়ালা সবুজ শাড়ি কিম্বা সবুজ পাড়ের লাল শাড়ি বেশ মানিয়ে যায়। শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ হওয়ায় ভালো। তবে সময়টা শীতকাল হওয়ায় কাঁধে একটা লাল বা সবুজ শাল রাখতে পারেন। তাহলে দিনভর থাকবেন শীতের কষ্টমুক্ত।
তরুণীদের অনেকে লাল সবুজ থ্রি-পিস পছন্দ করে। কেউ কেউ টপস বা ফতুয়াও বেছে নিতে পারেন। ফ্যাশন হাউজগুলোর আয়োজনে পাবেন প্রয়োজনের সবকিছু।
কপালে বড় লাল টিপে ভালো মানাবে যে কোনো তরুণীকেই। লাল লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। সঙ্গে সবুজ বা লাল রঙের মাথার ব্যান্ড। আর হাতে লাল সবুজ চুড়ি থাকা চাই-ই।
ছেলেরা সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরতে পারেন। আকাশি রঙের জিন্স কিংবা সাদা পাজামা মানিয়ে যাবে। সবুজ পাঞ্জাবিতে লালের উপস্থিতি আপনার সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেবে অনেক বেশি। পাঞ্জাবি ছাড়াও টি-শার্ট পরতে পারেন। বিজয় দিবসের থিম অবলম্বনে করা এসব টি-শার্ট আপনার স্মার্টনেস বাড়িয়ে দেবে শতগুণ।
মেয়ে শিশুদের লাল-সবুজ শাড়িতে অসাধারণ লাগে। ছেলে বাচ্চাদের সাজেও থাকতে পারে লাল সবুজ আবহ। পতাকার রঙে রাঙানো রিস্ট ব্যান্ড কিনে হাতে পরতে পারেন ছোট বড় সবাই। মাথায় পেঁচাতে পারেন পতাকার ছাপ দেয়া লম্বা কাপড়ের ব্যান্ড। চোয়ালে বা হাতে এঁকে নিতে পারেন বিজয় দিবসের নানা ট্যাটু। সবকিছুই যেনো হয় বিজয় দিবসকে মাথায় রেখে।
মন্তব্য চালু নেই