হরতাল-অবরোধের পর থেকে লালমনিরহাট রেল বিভাগের আওতায় চলাচলকারী ট্রেনের চরমভাবে সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এ কারনে ট্রেন যাত্রিরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। ঘন্টার পর ঘন্টা স্টেশনে বসে থেকেও ট্রেনের দেখা পাচ্ছে না যাত্রিরা ।

অপরদিকে যাত্রিরা ট্রেনে প্রচন্ড ভীর থাকায় ট্রেনের ছাদে জীবনের ঝকি নিয়ে চলাচল করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল লালমনিরহাট বিভাগে চলাচলকারী ৪২টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এতে ট্রেন যাত্রিদের সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কোন ট্রেনই সময়মত স্টেশনে পৌঁছতে পারছেনা এবং সময়মত ছেড়ে যাচ্ছে না।

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় সুত্রে জানা যায়, মোট চলাচলকারী ৪২টি ট্রেনের মধ্যে ১২টি আন্ত:নগর, ১০টি লোকাল ও মেইল ট্রেন ২০টি। ঢাকাগামী আন্ত:নগর লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনটি লালমনিরহাট থেকে ৮টা ২০মিনিটে ছাড়ার নির্ধারিত সময় থাকলেও প্রতিদিন সঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে না।

প্রায়ই নির্ধারিত সময়ের ১৫ থেকে ২০ ঘন্টা পর ছেড়ে যাচ্ছে। কখনো একদিনের ট্রেন পরদিন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। বুধবার লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে লালমনিরহাট স্টেশনে বৃহস্পতিবার ৯টা ১০মিনিটে পৌছার কথা থাকলেও পৌছে পরদিন শুক্রবার ভোর ৫টা ৩৫মিনিটে। ছেড়ে যায় ৮টা ২০মিনিটের পরিবর্তে ১১ টায়।

একই ভাবে করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটিও নির্ধারিত সময়ের ২৪ ঘন্টা বিলম্বে যাতায়াত করছে। এছাড়াও লোকাল ও মেইল ট্রেনও ৮ থেকে ১০ ঘন্টা বিলম্বে যাতায়াত করছে।

জানা গেছে, দিনে কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের থেকে ২ থেকে ৩ ঘটা বিলম্বে ছেড়ে গেলেও রাতে চলাচলকারী ট্রেনগুলো গতিবেগ কমিয়ে চলাচল ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সময়ের বিপর্যয় ঘটছে।

লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, হরতাল-অবরোধে রেলে নাশকতা এড়াতে ট্রেনের গতি কমিয়ে চলাচল করছে। এ কারনে ট্রেন চলাচলে সময়ের বিপর্যয় ঘটেছে।