লালমনিরহাটে স্কুল ছাত্র উল্লাস হত্যার প্রতিবাদে ১০ কিলোমিটার জুড়ে মানব বন্ধন ও সমাবেশ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা শিশু নিকেতনের মেধাবী ছাত্র আব্দুর রহিম উল্লাসের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ এ পর্যন্ত ৭ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে।

বুড়িমারী-লালমনিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে এ মানব বন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেয়। কর্মসূচির সাথে একত্বতা প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

এ সময় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে হাতীবান্ধা শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানব বন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ভেলু, উপজেলা ভাইস্ চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান সেলিম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খান, হাতীবান্ধা বিএনপি’র আহবায়ক মোশারফ হোসেন, উপজেলা জাতীয় পার্টি’র সভাপতি আলহাজ্ব এমজি মোস্তফা, সম্পাদক নুরুল আমিন, হাতীবান্ধা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শামসুল হক, হাতীবান্ধা এসএস হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান জুয়েল, শাহ্ গরিবুল্লাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তবিবর রহমান, হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহাতাব হোসেন, সাংবাদিক আলি আকতার গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা দাবী করেন, হাতীবান্ধা উপজেলায় মাদক ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়ায় উল্লাসের মত শিশুকে অপহরনের পর হত্যা করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার আগে দরকার সমাজকে মাদক মুক্ত করা। এ সময় বক্তারা উল্লাসের হত্যাকারী যেনো আইনের ফাকঁ দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের হলুদ ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের ছেলে হাতীবান্ধা শিশু নিকেতনের ১ম শ্রেণীর ছাত্র উল্লাসকে গত সোমবার সন্ধ্যার পর খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার বাবার মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে জানানো হয় উল্লাসকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে জীবিত পেতে হলে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে যা ডাচ বাংলা মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে টাকা দিতে বলেন অপহরণকারীরা। টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় অপহরণকারীরা উপজেলা পরিষদের পরিত্যাক্ত ভবনে তাকে হত্যা করে ফাঁসীতে ঝুলিয়ে রাখে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ এ পর্যন্ত ৭ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে।



মন্তব্য চালু নেই