ফলোআপ :

লালমনিরহাটে ক্লিনিকে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দুই লাখ টাকায় দফারফা

লালমনিরহাট শহরের হাসপাতাল রোডে লালমনি ক্লিনিকে সিজার করতে গিয়ে ওটি রুমে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় টাকার বিনিময় রাতারাতি দফারফা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার রাতই নিহতের লোকজনের সাথে ক্লিনিক মালিকের কয়েকঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দুই লাখ টাকায় বিষটি চুড়ান্ত মীমাংসা হয়। রাতই নিহতের অভিভাবক স্বামী ও বাবা রেখালেখি সম্পন্ন করে লাশটি গ্রামের বাড়ী আদিতমারী উপজেলার পলাশীতে নিয়ে যাওয়া হয়। লাশটির শবদাহ সম্পন্ন করতে রাতই ক্লিনিক মালিক ডাঃ ভোলানাখ ভট্টাচার্য্য নগদ ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেন নিহতের স্বামী বিশাদ চন্দ্র রায়ের হাতে। নিহত প্রসূতি মা বৃষ্ণা রানীর প্রসবকৃত নবজাতক কন্যা সন্তানটি জীবিত ও সুস্থ্য রয়েছে।

শুক্রবার বিকালে কৃষ্ণা রানী লালমনি ক্লিনিকে সিজার করে সন্তান প্রসবের সময় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসক নয় ক্লিনিকের অনভিজ্ঞ স্টাফরা দ্বারা এ সিজার অপারেশন করায়র কৃষ্ণার মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের লোকজন ক্লিনিকটি ঘেরাও করে ফেলে পরে স্থানীয় লোকজনও তাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আন্দোলন করতে থাকে।

নিহত প্রসূুতি মা কৃষ্ণা রানীর স্বামী বিশাদ চন্দ্র রায় জানান, অনভিজ্ঞ ক্লিনিক স্টাফ দ্বারা এই সিজার অপারেশন করায় তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ”আমার পরিবারের লোকজন, স্থানীয় লোকজন ও ক্লিনিক মালিকের উপস্থিতিতে দুই লাখ টাকা জরিমানা চুড়ান্ত হয়। আর এই জরিমানার টাকা ব্যয় হবে নবজাতক কন্যা সন্তানটির বেচে থাকা ও সুস্খ্যভাবে বেড়ে উঠার কাজে,” বিশাদ জানালেন।

নিহতের বাবা চন্দ্র মোহন রায় জানালেন, সবদিক আর নবজাতক শিশুটির কথা চিন্তা করেই এ মীমাংসা করা হয়েছে। ”কপালে এমনটি ছিল হয়েছে আর কি করার আছে। মামলা করে যদি মেয়ে ফেরত পেতাম তাহলে অবশ্যই মামলা করতাম,” তিনি এমনটি জানিয়ে বলেন শহর জুড়ে ক্লিনিকগুলোতে সাধার অনভিজ্ঞ স্টাফরাই জটিল জটিল অপারেশ করছে কোন প্রকার আইনি জটিলতা ছাড়াই।

এ ব্যাপারে লালমনি ক্লিনিক’র মালিক, লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ভোলানাথ ভট্টাচার্য্য জানান, কৃষ্ণা রানীর সিজার অপারেশটি তিনি নিজেই করেছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার মৃত্যু হয়। নবজাতক কন্যা শিশুটির বেচে থাকা আর সুস্থ্যভাবে বেড়ে উঠার কথা সদয় বিবেচনা করেই তিনি এ জরিমানার টাকা দিতে রাজি হয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই